You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.08.13 | কোম্পানীগঞ্জ থানা ভবন রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী) - সংগ্রামের নোটবুক

কোম্পানীগঞ্জ থানা ভবন রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী)

কোম্পানীগঞ্জ থানা ভবন রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী) পরিচালিত হয় ১৩ই আগস্ট। এতে শত্রুবাহিনীর ৬০-৭০ জন সৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এবং ২ জন আহত হন।
১৪ই আগস্ট ছিল পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার বাহিনী কোম্পানীগঞ্জ থানা হেডকোয়ার্টার্স বসুরহাটে দিবসটি পালন করার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বসুরহাট হাইস্কুল মাঠে কুচকাওয়াজ এবং সকল সরকারি, বেসরকারি ও বাণিজ্যিক ভবনে পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলন। অপরদিকে, মুক্তিযোদ্ধারা লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা ভবন আক্রমণের প্রস্তুতি নেন। ইতোমধ্যে বহু মুক্তিযোদ্ধা উচ্চতর প্রশিক্ষণসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ও মনোবল পূর্বের তুলনায় বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার লুৎফর রহমানের নির্দেশে সুবেদার শামছল হকের নেতৃত্বে ১৩ই আগস্ট গভীর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মিলিতভাবে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ত্রিমুখী আক্রমণ চালান। এ-যুদ্ধে সুবেদার শামছল হক, ক্যাপ্টেন নাগ ও কমান্ডার রফিকসহ অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। থানামুখী পুলের আড়ালে দাঁড়িয়ে এবং বিভিন্ন গোপন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধারা প্রচণ্ড আক্রমণ চালান। এতে শত্রুবাহিনীর ৬০-৭০ জন সৈন্য নিহত এবং তাদের ব্যবহৃত সামরিক যান অকেজো হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে চরম মার খেয়ে তাদের পাকিস্তান দিবসের সকল কর্মসূচি ভেস্তে যায়। এ-যুদ্ধে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এবং ২ জন আহত হন। [মো. ফখরুল ইসলাম]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড