কোকদণ্ডী গণহত্যা (বাঁশখালী, চট্টগ্রাম)
কোকদণ্ডী গণহত্যা (বাঁশখালী, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় ১৯শে মে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ গণহত্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ২২ জন মানুষ শহীদ হন।
১৯শে মে বাঁশখালী উপজেলার কোকদণ্ডী গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় আক্রমণ করে। তাদের নির্যাতন ও গুলিতে কোকদণ্ডী গ্রামের ২২ জন সাধারণ নর-নারী শহীদ হন। এ-সময় হানাদার বাহিনী অনেকগুলো বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে। কোকদণ্ডী গণহত্যায় শহীদ ২২ জনের মধ্যে ১৭ জনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- কোকদণ্ডী গ্রামের যতীন্দ্র লাল দেব (পিতা নয়ন বাসী দেব), উপেন্দ্র গুহ (পিতা রমেশ চন্দ্র গুহ), জয়ন্ত ধর (পিতা বজ্র হরি ধর), প্রফুল্ল ধর (পিতা নবীন চন্দ্র ধর), সত্যেন্দ্র চক্রবর্তী (পিতা জগৎ চন্দ্র চক্রবর্তী), উমেশ চন্দ্ৰ ভট্টাচার্য (পিতা সৃষ্টি চরণ ভট্টাচার্য), রজনী মোহন শীল (পিতা শ্রীমন্ত শীল), সতীশ চন্দ্র দে (পিতা প্রাণকৃষ্ণ দে), পরিমল কান্তি দে (পিতা সতীশ চন্দ্র দে), পেয়ারী মোহন তালুকদার (পিতা মহেশ চন্দ্র তালুকদার), গোপাল মোহন তালুকদার (পিতা পেয়ারী মোহন তালুকদার), সুদর্শন দেব দাশ (পিতা নুতন চন্দ্র দেব দাশ), অবিনাশ চন্দ্র দাশ (পিতা জগবন্ধু দাশ), সারদা চরণ শীল (পিতা যদু নাথ শীল), ত্রিপুরা রচণ শীল (পিতা রসিক চন্দ্র শীল), দীজেন্দ্ৰ লাল দাশ (পিতা যোগেন্দ্র লাল দাশ) ও মহেন্দ্র দে (পিতা ত্রিপুরা চরণ দে)। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড