কোদালধোয়া গণহত্যা (আগৈলঝাড়া, বরিশাল)
কোদালধোয়া গণহত্যা (আগৈলঝাড়া, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১লা মে। এতে বেশ কয়েকজন নিরীহ গ্রামবাসী প্রাণ হারায়।
আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫ কিমি উত্তর- পশ্চিম দিকে বাকাল ইউনিয়নে গোপালগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকার হিন্দু অধ্যুষিত কোদালধোয়া গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১লা মে নৃশংস গণহত্যা চালায়। হিন্দু নিধনের অংশ হিসেবে তারা এ গণহত্যা সংঘটিত করে। উপজেলা সদর থেকে দূরবর্তী ও বিচ্ছিন্ন এ গ্রামে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক মানুষ হানাদার বাহিনীর ভয়ে আশ্রয় গ্রহণ করে। স্থানীয় রাজাকারদের দেখানো পথে গৌরনদী ক্যাম্প থেকে একদল পাকিস্তানি সৈন্য এসব নিরস্ত্র মানুষের ওপর গণহত্যা চালায়। গণহত্যার সঙ্গে তারা লুণ্ঠন এবং নারীনির্যাতনও করে। গণহত্যায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী শহীদ হন, যাদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন- কোদালধোয়ার বিভা রানী বিশ্বাস (পিতা যদুনাথ বিশ্বাস), যতীন্দ্রনাথ দাস (পিতা যাদব চন্দ্র দাস), রসিক চন্দ্র দাস (পিতা রজন চন্দ্র দাস), খোকন বৈষ্ণব (পিতা সনাতন বৈষ্ণব), নিবারণ পাণ্ডে (পিতা প্রশান্ত পাণ্ডে), বিনোদনা হালদার (পিতা তারিনা হালদার), অমূল্য বালা (পিতা রসিক বালা), পূর্ণ হাজরা (স্বামী ধনঞ্জয় ওঝা), নরেন ওঝা (পিতা চণ্ডীচরণ ওঝা), জলির পাড়ের কানাই ওঝা (পিতা নিত্যনাথ ওঝা) ও কানাই ওঝা (পিতা রজনী কান্ত ওঝা)। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড