You dont have javascript enabled! Please enable it! কৈয়াবাগান হালদা ভ্যালি যুদ্ধ (ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম) - সংগ্রামের নোটবুক

কৈয়াবাগান হালদা ভ্যালি যুদ্ধ (ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম)

কৈয়াবাগান হালদা ভ্যালি যুদ্ধ (ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। এতে ৪ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত এবং ৮ জন পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকার আহত হয়।
সিএইসি আবদুল হালিম লোক মারফত মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ কমান্ডার মো. আলমগীর চৌধুরী ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যেশে একখানা চিরকুট পাঠান। তাতে তিনি লেখেন, শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান দবরুজ্জামান সওদাগর কনভেনশন মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর নিকট থেকে কিছু খাদ্যদ্রব্য নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে নৌকাযোগে ফটিকছড়িতে আসছে। সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করার জন্য তা গ্রামের লোকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। চিরকুটে আরো লেখা হয়, খাদ্যদ্রব্যসমূহ নৌকা থেকে লুট করে এলাকার মানুষের মধ্যে বিতরণ করে দিতে, যাতে মানুষ বুঝতে পারে স্থানীয় প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধাদের অধীনে কাজ করছে। চিরকুট পেয়ে অবিলম্বে গ্রুপ কমান্ডার আহমদ ছফার বাহিনীসহ কমান্ডার আলমগীর নিজ গ্রুপের সশস্ত্র যোদ্ধাদের নিয়ে ক্যাম্প থেকে কৈয়াবাগান এলাকায় চলে আসেন। দুই গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধারা সেখান থেকে নিকটস্থ আছিয়া চা বাগানের নিকট এসে অবস্থান নেন। সেখান থেকে তাঁরা হালদা ভ্যালি খালের পূর্বতীর ধরে এগুতে থাকেন। ঠিক সেই সময় মুক্তিযোদ্ধা সোলতান দেখতে পান চা-পাতা বোঝাই ১১টি নৌকা উত্তর দিক থেকে দক্ষিণে যাচ্ছে এবং প্রত্যেকটি নৌকায় ৪ জন করে পাকিস্তানি সৈন্য অস্ত্র তাক করে পাহারা দিচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা বুঝতে পারেন যে, পাকিস্তানি সৈন্যরা চা-পাতা শহরে নিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের অবস্থান থেকে একটু পূর্বদিকে সরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেন যে, হানাদারদের ওপর আক্রমণ চালাতে হবে। ঠিক সেই মুহূর্তে কমান্ডার আবদুল হালিম ও কমান্ডার বোরহান তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। মুক্তিযোদ্ধারা কমান্ডার আবদুল হালিমের নির্দেশে ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। তন্মধ্যে নদীর পূর্বপাশে কমান্ডার আমানউল্লাহর নেতৃত্বে এক গ্রুপ এবং নদীর পশ্চিম তীরে মো. আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে আরেক গ্রুপকে আক্রমণের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ শুরু করলে পাকিস্তানি সৈন্যরাও নৌকা থেকে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারা নদীর তীরে আর পাকিস্তানিরা নদীতে নৌকায় থাকায় যুদ্ধের পরিস্থিতি মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষেই ছিল। প্রায় দুঘণ্টা উভয় পক্ষে গুলি বিনিময়ের পর পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয়ে পশ্চিম দিকে পালিয়ে যায়। এ-যুদ্ধে ৪ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত এবং ৮ জন পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকার আহত হয়। নিহত পাকিস্তানি সেনাদের লাশ হালদা নদীতে তলিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা এ-যুদ্ধ থেকে ৫সিএইসি আবদুল হালিম লোক মারফত মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ কমান্ডার মো. আলমগীর চৌধুরী ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যেশে একখানা চিরকুট পাঠান। তাতে তিনি লেখেন, শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান দবরুজ্জামান সওদাগর কনভেনশন মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর নিকট থেকে কিছু খাদ্যদ্রব্য নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে নৌকাযোগে ফটিকছড়িতে আসছে। সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করার জন্য তা গ্রামের লোকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। চিরকুটে আরো লেখা হয়, খাদ্যদ্রব্যসমূহ নৌকা থেকে লুট করে এলাকার মানুষের মধ্যে বিতরণ করে দিতে, যাতে মানুষ বুঝতে পারে স্থানীয় প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধাদের অধীনে কাজ করছে। চিরকুট পেয়ে অবিলম্বে গ্রুপ কমান্ডার আহমদ ছফার বাহিনীসহ কমান্ডার আলমগীর নিজ গ্রুপের সশস্ত্র যোদ্ধাদের নিয়ে ক্যাম্প থেকে কৈয়াবাগান এলাকায় চলে আসেন। দুই গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধারা সেখান থেকে নিকটস্থ আছিয়া চা বাগানের নিকট এসে অবস্থান নেন। সেখান থেকে তাঁরা হালদা ভ্যালি খালের পূর্বতীর ধরে এগুতে থাকেন। ঠিক সেই সময় মুক্তিযোদ্ধা সোলতান দেখতে পান চা-পাতা বোঝাই ১১টি নৌকা উত্তর দিক থেকে দক্ষিণে যাচ্ছে এবং প্রত্যেকটি নৌকায় ৪ জন করে পাকিস্তানি সৈন্য অস্ত্র তাক করে পাহারা দিচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা বুঝতে পারেন যে, পাকিস্তানি সৈন্যরা চা-পাতা শহরে নিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের অবস্থান থেকে একটু পূর্বদিকে সরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেন যে, হানাদারদের ওপর আক্রমণ চালাতে হবে। ঠিক সেই মুহূর্তে কমান্ডার আবদুল হালিম ও কমান্ডার বোরহান তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। মুক্তিযোদ্ধারা কমান্ডার আবদুল হালিমের নির্দেশে ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। তন্মধ্যে নদীর পূর্বপাশে কমান্ডার আমানউল্লাহর নেতৃত্বে এক গ্রুপ এবং নদীর পশ্চিম তীরে মো. আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে আরেক গ্রুপকে আক্রমণের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ শুরু করলে পাকিস্তানি সৈন্যরাও নৌকা থেকে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারা নদীর তীরে আর পাকিস্তানিরা নদীতে নৌকায় থাকায় যুদ্ধের পরিস্থিতি মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষেই ছিল। প্রায় দুঘণ্টা উভয় পক্ষে গুলি বিনিময়ের পর পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয়ে পশ্চিম দিকে পালিয়ে যায়। এ-যুদ্ধে ৪ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত এবং ৮ জন পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকার আহত হয়। নিহত পাকিস্তানি সেনাদের লাশ হালদা নদীতে তলিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা এ-যুদ্ধ থেকে ৫হাজার রাউন্ড গুলি, ৪টি চাইনিজ রাইফেল ও একটি থ্রি- নট-থ্রি রাইফেল হস্তগত করেন। অপারেশন শেষে তাঁরা হারুয়ালছড়িতে মৌলানা কবির আহমদের খামারস্থ ক্যাম্পে ফিরে যান। [জামাল উদ্দিন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড