কোকতাঁরা গণহত্যা (পাঁচবিবি, জয়পুরহাট)
কোকতাঁরা গণহত্যা (পাঁচবিবি, জয়পুরহাট) মে মাসের প্রথম দিকে সংঘটিত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ গণহত্যায় ৮ জন নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হন।
পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নে কোকতাঁরা গ্রামের অবস্থান। হানাদার বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা বকুলতলা এলাকায় রেললাইনের কিছু অংশ তুলে ফেলে। প্রতিশোধ নিতে হানাদার বাহিনী ২৭শে এপ্রিল খুলনা থেকে সৈয়দপুরগামী একটি ট্রেন থামিয়ে দেড় থেকে দুশ জন যাত্রীকে নামিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে মে মাসের প্রথম দিকে একদিন সকালে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল আলিম (বিএনপির সাবেক মন্ত্রী, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রাপ্ত ও দণ্ডভোগরত অবস্থায় মৃত্যু)-এর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সৈন্য, শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকার- বাহিনীর সদস্যরা বকুলতলার পার্শ্ববর্তী কোকতাঁরা গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালায়। এদিন কোকতাঁরা গ্রামের ৮ জন মানুষ শহীদ হন। হানাদাররা কোকতাঁরা গ্রামের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ার ঘরবাড়িতে লুণ্ঠন শেষে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তাদের দেয়া আগুনে পুড়ে ঘরের মধ্যেই শহীদ হন রামভদ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হোসেনের অন্ধ বৃদ্ধ পিতা বিশারতউল্লাহ। কোকতাঁরা গ্রাম গণহত্যায় অন্য শহীদদের নাম জানা যায়নি। [রেহানা পারভীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড