You dont have javascript enabled! Please enable it!

কেজাইকান্দা গণহত্যা (মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ)

কেজাইকান্দা গণহত্যা (মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ) সংঘটিত হয় ২রা আগস্ট। এতে ৯ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়।
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলা থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে বড়গ্রাম ইউনিয়নের একটি গ্রাম কেজাইকান্দা। এর পাশেই জামালপুর সদর উপজেলার সুবর্ণখিলা গ্রাম। ২রা আগস্ট সকাল ১১টার দিকে পাকবাহিনীর ২০-৩০ জনের একটি গ্রুপ কেজাইকান্দা-সুবর্ণখিলা গ্রামে গণহত্যা চালায়। এ গণহত্যায় পাকবাহিনীকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে -রাজাকার- হাফেজ আবুল হোসেন (শকুনখিলা), আক্কাস মৌলবি ওরফে রেজাউল করিম (চেচুয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রাক্তন সুপার, কেশবপুর), মওলানা ইন্নস আলী (সুবর্ণখিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার, চানপুর, জামালপুর) ও নাসির উদ্দিন কালু (সুবর্ণখিলা দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরি, চানপুর, জামালপুর)। সেদিন গণহত্যায় যারা শহীদ হন, তারা হলেন- আয়েজ উদ্দিন মুনসি (পিতা মঈন উদ্দিন, কেজাইকান্দা, মুক্তাগাছা), আবু হানিফ (পিতা মান্দি, কেজাইকান্দা, মুক্তাগাছা), জহুর আলী (পিতা আইনউদ্দিন, কেজাইকান্দা, মুক্তাগাছা), আবুদস সালাম (পিতা মনতাজ আলী, কেজাইকান্দা, মুক্তাগাছা), সোমেদ আলী (পিতা মনতাজ আলী, কেজাইকান্দা, মুক্তাগাছা), আহাম্মদ আলী (নকলা হাইস্কুলের ছাত্র, পিতা আকবর আলী, সুবর্ণখিলা, জামালপুর), আবদুল জলিল (পিতা সুরতুল্লাহ, সুবর্ণখিলা, জামালপুর), বেগম (পিতা ময়েজ উদ্দিন মুন্সি, সুবর্ণখিলা, জামালপুর) ও বেল্লাল উদ্দিন (পিতা জইমুদ্দিন, সুবর্ণখিলা, জামালপুর)। পাকবাহিনী সেদিন কেজাইকান্দা ও সুবর্ণখিলা গ্রামদুটিতে অগ্নিসংযোগ করে। বিকেলে পাকবাহিনী তাদের মুক্তাগাছা ক্যাম্পে ফিরে গেলে গ্রামবাসী শহীদদের কেজাইকান্দা কবরস্থানে সমাহিত করে। [শফিউদ্দিন তালুকদার]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!