You dont have javascript enabled! Please enable it!

কুশলডাঙ্গী হাট গণহত্যা (বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও)

কুশলডাঙ্গী হাট গণহত্যা (বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও) সংঘটিত হয় ২রা জুন। এতে পাকবাহিনী ও -রাজাকার-দের হাতে ঝিকড়া, বেলসারা, বানিয়াবস্তি প্রভৃতি গ্রামের অনেকে প্রাণ হারান। হানাদাররা হত্যার পর লাশগুলো মাটিচাপা দেয়।
২৫শে মে খোকসাই-এ বিহারি ও পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। এ-যুদ্ধ বিকেলে শুরু হয়ে পরদিন ভোরবেলা পর্যন্ত চলে। যুদ্ধের পর বিহারি ও পাকসেনারা খকসার হিন্দুপল্লী পুড়িয়ে দেয়। ২রা জুন সকালে তারা থানার কুশলডাঙ্গী হাটে গণহত্যা চালায়। এ-সময় পাকবাহিনীকে সহযোগিতা ও হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেয় মেজর সিদ্দিক (বিহারি, ধর্মগড়, রানীশংকৈল), কাবলি বিহারি (ধর্মগড়), মনসুর বিহারি (কাওয়া খাদেমগঞ্জ), জব্বার বিহারি ওরফে টিকিয়া বেচা (কাশুয়া খাদেমগঞ্জ) প্রমুখ। পাকহানাদার বাহিনী ঝিকরা ও বেলসারা গ্রামের অনেককে ধরে হাটের মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার পূর্বপাশে গুলি করে হত্যা করে। এরপর একই কবরে সবাইকে মাটিচাপা দেয়। এ গণহত্যায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন- তারা ফনির (পিতা শেরেলী, বেলসারা), তারাব উদ্দীন (পিতা আকালু, ঝিকরা), শিয়ালু (পিতা দোলেল, ঝিকরা), গইসু (পিতা ভাদু, ঝিকরা), নিয়াজু (পিতা পবেদ, ঝিকরা), ইসলাম (পিতা খোরশেদ, ঝিকরা), মুসলিম (পিতা মানবর, ঝিকরা), পবেদ (পিতা আনকোর, ঝিকরা), ধুম বকস (পিতা লবানু, ঝিকরা), পিছল (পিতা ভাকাতু, ঝিকরা), আলিমউদ্দীন (পিতা দমিজউদ্দীন, ঝিকরা), বিলাতু (পিতা দমিজ উদ্দীন, ঝিকরা), কালদি (পিতা খাপো, দলুয়া), কাবলী (ঝিকরা), নুর ইসলাম (পিতা খোরশেদ, ঝিকরা), জাহিরউদ্দীন (পিতা ইসাদ আলী, ঝিকরা), নিশার (ঝিকরা), আ. গফুর (পিতা নফিল, বানিয়াবস্তি) ও লালু (পিতা করমত উদ্দিন, ঝিকরা)। [মো. আব্দুল ওয়াহাব]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!