কুলকান্দি গণহত্যা (ইসলামপুর, জামালপুর)
কুলকান্দি গণহত্যা (ইসলামপুর, জামালপুর) সংঘটিত হয় ৮ই জুলাই। কুলকান্দি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এখানকার এ বি এন শহীদ স্মৃতি হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এ গণহত্যার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আলবদর নেতা টলু মিয়ার নেতৃত্বে পাকবাহিনী এখানে নির্মমভাবে ১১ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে।
কুলকান্দি কবি হাসান হাফিজুর রহমানের জন্মস্থান। অন্য বাঙালিদের মতো এ এলাকার জনগণও সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। নানা কারণে এলাকাটি পাকসেনাদের আক্রোশে পড়ায় তারা এখানে গণহত্যা চালায়। গণহত্যায় সেদিন শহীদ হন হাসান হাফিজুর রহমানের দুই সহোদর ডা. হাসিবুর রহমান (ফারুক ডাক্তার) ও কায়জার মিয়া (পিতা আবদুর রহমান)। গণহত্যার শিকার অন্যরা হলেন- শাজাহান মিয়া (পিতা হাজী মফিজ উদ্দিন), আ. হামিদ মীর (পিতা ছাহামদ আলী মীর), তফিজ উদ্দিন বেগ (পিতা হাদির বেগ), আ. রফিজ উদ্দিন খান (পিতা নাহু খান), আব্দুস সামাদ মীর (পিতা ইনছার আলী মীর), আসাদুজ্জামান খান (পিতা আমিজ উদ্দিন খান), মোরাদ আলী খান (পিতা তমছের আলী খান), নূরু খান (পিতা রফিজ উদ্দিন খান) এবং আবু তালেব শেখ (পিতা খয়দা শেখ)। এঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে কুলকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কুলকান্দি শহীদস্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়। তবে গণহত্যার স্থানটি এখন আর নেই, নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। [ভোলা দেবনাথ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড