You dont have javascript enabled! Please enable it!

কুলিকুণ্ডা গণহত্যা (নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

কুলিকুণ্ডা গণহত্যা (নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংঘটিত হয় ১১ই নভেম্বর। এতে ৪ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
ঘটনার দিন পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকার-রা কুলিকুণ্ডা গ্রামে আক্রমণ চালায়। আক্রমণের খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন দ্রুত পালাবার চেষ্টা করে। পালাবার সময় জগৎ নামে একজন কাঠমিস্ত্রি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান দেখিয়ে দেয়ার জন্য জগৎকে নিয়ে সমগ্র গ্রাম ঘোরে। কিন্তু সে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানায়নি। পাকিস্তানি সেনারা তাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে গায়ের চামড়া আলাদা করে ফেলে। এরপর গুলি করে হত্যা করে। পাকিস্তানি বাহিনীর ভয়ে পালাবার সময় বাসনা চক্রবর্তী নামে এক মহিলা গুলিতে আহত হয়। তার কোলের দুবছরের শিশুপুত্র সুধা রঞ্জন চক্রবর্তী মাটিতে পড়ে গেলে হানাদার বাহিনী ও রাজাকাররা শিশুটিকে পায়ের নিচে পিষ্ট করে হত্যা করে। এ গ্রামের অগ্নিশ্বর এবং গেনু নাগ কায়স্থকে তারা গুলি করে হত্যা করে। রাজাকাররা বিশেষ করে হিন্দুদের বাড়িঘর টার্গেট করে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে মেতে ওঠে। গ্রামের এমন কোনো বাড়ি ছিল না যেখানে হানাদার ও রাজাকার বাহিনী লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেনি।
কুলিকুণ্ডা গ্রাম গণহত্যায় নিহত জগৎ, গেনু নাগ কায়স্থ ও অগ্নিশ্বরকে তাদের বাড়ির পাশে এবং সুধারঞ্জন চক্রবর্তীকে কাচিয়া দিঘির পাড়ে মাটিচাপা দেয়া হয়। বাসনা চক্রবর্তীর ডান চোখ এবং পায়ে গুলি লাগলে আহত হন। [জামিল ফোরকান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!