You dont have javascript enabled! Please enable it!

কুণ্ডুপাড়া জমিদারবাড়ি গণহত্যা (দুপচাঁচিয়া, বগুড়া)

কুণ্ডুপাড়া জমিদারবাড়ি গণহত্যা (দুপচাঁচিয়া, বগুড়া) সংঘটিত হয় ১১ই এপ্রিল। গণহত্যার স্থান ছিল যোগেন্দ্রনাথ চৌধুরী ওরফে ক্ষিতীশ চৌধুরীর বাড়ি। এতে ভারতগামী একই পরিবারের কয়েকজন আশ্রয়প্রার্থীসহ মোট ১১ জন মানুষ শহীদ হন।
বগুড়া শহর থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরে কুণ্ডুপাড়া জমিদারবাড়ি অবস্থিত। বগুড়া শহর থেকে দুপচাঁচিয়া হয়ে জয়পুরহাট দিয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য মন্মথ চন্দ্র কুণ্ডু পরিবারের ৮-৯ জন সদস্যসহ রওনা দেন। পথে দুপচাঁচিয়া কুণ্ডুপাড়ার যোগেন্দ্রনাথ চৌধুরী ওরফে ক্ষিতীশ চৌধুরীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। স্থানীয় অবাঙালিরা এ খবর পাকিস্তানি বাহিনীর নিকট পৌছে দেয়। পাকসেনারা ঐ রাতেই চৌধুরী বাড়িতে আক্রমণ করে বাড়ির সবাইকে এক সঙ্গে গুলি করে হত্যা করে। পাকসেনারা চলে যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে নিমাই সুন্দর চৌধুরী, অনন্তমোহন কুণ্ডু বীরেন্দ্রনাথ চৌধুরী, জয়ন্ত কুণ্ডু প্রমুখ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা চৌধুরী বাড়ির পেছনে পুকুরের পূর্বপাড়ে কবর খুঁড়ে লাশগুলো এক সঙ্গে সমাধিস্থ করেন। হত্যাকাণ্ডের সময় মৃত্যুর ভান করে পড়ে থেকে প্রাণে বেঁচে যান মন্মথ কুণ্ডুর মেয়ে তৃপ্তি রানী। হত্যাকাণ্ড শেষে পাকসেনারা চৌধুরী বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কুণ্ডুপাড়া চৌধুরী বাড়ি গণহত্যায় নিহতরা হলেন- যোগেন্দ্রনাথ চৌধুরী ওরফে ক্ষিতীশ চৌধুরী, মন্মথ কুণ্ডু, দুর্গা কুণ্ডু, কালাচাঁদ কুণ্ডু, সন্তোষ কুণ্ডু, কানাইলাল পোদ্দার, ব্রজমোহন সাহা, কাকলী, তহিরউদ্দীন শাহ, শরৎ মজুমদার ও অক্ষয় কুণ্ডু। [সাহিদুর রহমান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!