You dont have javascript enabled! Please enable it!

কালেঙ্গা বনাঞ্চল যুদ্ধ (চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ)

কালেঙ্গা বনাঞ্চল যুদ্ধ (চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ) সংঘটিত হয় ২৪শে সেপ্টেম্বর। এতে একজন অফিসারসহ ৬১ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরপক্ষে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
ঘটনার দিন দুপুরে রশিদপুর থেকে একদল পাকসেনা কালেঙ্গা অভিমুখে রওনা দেয়। কালেঙ্গা ফরেস্ট অফিস এলাকায় পূর্ব থেকে ৩নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন আজিজুর রহমান এবং ইপিআর-এর নায়েক আব্দুল মান্নান মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে পাকসেনাদের আক্রমণের জন্য ওঁৎ পেতে ছিলেন। পাকসেনারা কালেঙ্গা ফরেস্ট অফিস অতিক্রম করে এম্বুশের আওতায় আসামাত্রই তিনদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ব্রাশ ফায়ার করতে ও গ্রেনেড ছুড়তে থাকেন। এতে একজন অফিসারসহ ৬১ জন পাকসেনা ঘটনাস্থলে নিহত হয়। যুদ্ধে নায়েক আবদুল মান্নান পাকসেনাদের মরদেহ টেনে নিয়ে যাবার চেষ্টাকালে অপর এক পাকসেনার গুলিতে তিনি শাহদাত বরণ করেন। পরদিন মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ নায়েক আব্দুল মান্নানকে কালেঙ্গার ফরেস্ট অফিস সড়কের পাশেই সমাহিত করেন। এখানে তাঁর সমাধি বাঁধাই করা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য শহীদ নায়েক আব্দুল মান্নান ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন। এ-যুদ্ধে বাহুবল থানার জয়পুর গ্রামের আলহাজ্ব ফিরোজ মিয়া, কালেঙ্গা গ্রামের আব্দুল গফুর, চুনারুঘাট থানার দুর্গেশ রঞ্জন ধর প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে পাকসেনারা কালেঙ্গায় অভিযান চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের না পেয়ে কালেঙ্গা ফরেস্টের জায়গিরদার আব্দুল মান্নান হেডম্যানকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে। [মিলন রশীদ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!