You dont have javascript enabled! Please enable it!

কাশীপুর গুদারাঘাট অপারেশন (ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ)

কাশীপুর গুদারাঘাট অপারেশন (ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ) পরিচালিত হয় ৪ঠা ডিসেম্বর। নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার কাশীপুর গুদারাঘাটে পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাঁটিতে মুক্তিযোদ্ধারা এ অপারেশন চালান। এতে ১ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং ২ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের চলে যাওয়ার পর পাকবাহিনী মানুষের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
গুদারাঘাট অপারেশনে নারায়ণগঞ্জের গ্রুপ কামান্ডার মাহফুজুর রহমান মাফুজের নেতৃত্বে জানে আলম, গোপীনাথ দাস, পরিমল চক্রবর্তী, দুলাল দত্ত, জাহাঙ্গীর আলম, শফিউদ্দিন, মাইজুদ্দীন (সেনাবাহিনীর ল্যান্স নায়েক) প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। মুক্তিযোদ্ধারা কাশীপুর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাটা ঘাঁটি আক্রমণের জন্য ৩রা ডিসেম্বর নৌকাযোগে কানাইনগর থেকে রওনা দিয়ে রাতে মুক্তিযোদ্ধা জানে আলমের বাড়িতে অবস্থান নেন। ভোরবেলা বাটা আক্রমণে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় লোক মারফত তাঁরা খবর পান কাশীপুর বড় মসজিদ সংলগ্ন গুদারাঘাটে ৪ জন পাকিস্তানি সৈন্য নৌকার মাঝিদের হাত-পা ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে রাইফেলের বাঁট দিয়ে আঘাত করছে। মুক্তিযোদ্ধারা সঙ্গে-সঙ্গে মসজিদের পাশে গিয়ে এম্বুশ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করেন। এতে ১ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং ২ জন আহত হয়। এক পর্যায়ে ঘাঁটি থেকে দলে-দলে পাকিস্তানি সেনারা বের হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধারা কৌশলে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন। মুক্তিযোদ্ধাদের নাগাল না পেয়ে পাকিস্তানি সেনারা কাশীপুরের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ঘাঁটিতে ফিরে যায়। [রীতা ভৌমিক]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!