You dont have javascript enabled! Please enable it! কালীবাজার অপারেশন (নারায়ণগঞ্জ সদর) - সংগ্রামের নোটবুক

কালীবাজার অপারেশন (নারায়ণগঞ্জ সদর)

কালীবাজার অপারেশন (নারায়ণগঞ্জ সদর) পরিচালিত হয় অক্টোবর মাসে। এতে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং ৭ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
নারায়ণগঞ্জ সদরের কালীবাজারে সিরাজদৌল্লা রোডের বাসিন্দা জালাল হাজীর বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দক্ষিণে টিএন্ডটি অফিসে ছিল পাকসেনাদের ক্যাম্প। এ ক্যাম্পে ৫০০ পাকসেনা অবস্থান করত। তারা ক্যাম্প থেকে জিপে চড়ে বের হয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করত। এ-সময় নিরীহ মানুষদের ধরে তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালাত এবং তারপর তাদের হত্যা করত। পাকসেনাদের এই টহল প্রতিরোধ করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর অপারেশন পরিচালনার পরিকল্পনা করেন। এজন্য শাহজালাল প্লাটুনের ডেপুটি কমান্ডার ও নুরুল হুদা (হাজীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর)-র নেতৃত্বে চারজন মুক্তিযোদ্ধা কানু চন্দ্র আইচ (কাইনপুর, ফতুল্লা), নুরুল হক (কুতুবপুর, নারায়ণগঞ্জ), সুলতান (হাজীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর) ও বাচ্চু (হাজীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর) জালাল হাজীর বাড়ির দোতলায় অবস্থান নেন। সেখানে বসে তাঁরা বোমা তৈরি করেন। ঘটনার সময় কালীবাজারে সিরাজদৌল্লা রোডে পাকসেনারা টহল দিচ্ছিল। তখন ছিল রমজান মাস। ইফতারির কিছু আগে একটি বোমা রাস্তায় টহলরত পাকসেনাদের জিপের ওপর ছুড়ে মারা হয়। জিপের সামনের আসনে দুজন এবং পেছনের আসনে ছয়জন পাকসেনা ছিল। বোমাটি পেছনের সারিতে বাম পাশে বসা দুজন পাকসেনার ঘাড়ে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। এতে ৪ জন পাকসেনা ঘটনাস্থলে নিহত হয়। বোমা বিস্ফোরণে ৭ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হন। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা ভবনের পেছনের পাইপ বেয়ে নিচে নেমে সরে পড়েন। [রীতা ভৌমিক]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড