কালামারছড়া বাজার গণহত্যা (মহেশখালী, কক্সবাজার)
কালামারছড়া বাজার গণহত্যা (মহেশখালী, কক্সবাজার) সংঘটিত হয় মে মাসের প্রথম দিকে। এ গণহত্যায় ৫ জন মানুষ শহীদ হন।
কালামারছড়া ইউনিয়নের বাজার এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শরীফ (পিতা ওয়াজ উদ্দীন)-কে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজেই হত্যা করে। ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শরীফ মহেশখালী থানার দুটি রাইফেল প্রশিক্ষণের জন্য সংগ্রহ করেন। মে মাসের প্রথম দিকে পাকিস্তানি বাহিনী কক্সবাজার দখল করলে মহেশখালী থানার দারোগা শামসুল হক রাইফেল দুটি উদ্ধার করার চেষ্টা চালায়। মোহাম্মদ শরীফ রাইফেল দুটি ফেরত না দিয়ে শত্রুসৈন্যদের প্রতিরোধ করেন। এক পর্যায়ে দারোগা শামসুল হক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর কতিপয় মৌলবাদী ও মুসলিম লীগারের সঙ্গে ফন্দি করে মোহাম্মাদ শরীফকে এক জনসভায় ডেকে এনে পথে কালামারছড়ায় নিয়ে গিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে। গুলিতে আহত হলে তাঁর নিকট থেকে রাইফেল দুটি ছিনিয়ে নেয়। তারা আহত অবস্থায় মোহাম্মদ শরীফ ও আরো কয়েকজনকে ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সী-বীচ রেস্ট হাউস বধ্যভূমিতে এনে গুলি করে হত্যা করে। এ-সময় মহেশখালীতে ফকিরাঘোনার মোহাম্মদ শফিকুর রহমান (পিতা গোলাম ছোবাহান), মোহাম্মদ ইউনুস (পিতা কালু মিয়া) নামে আরো দুজন গুলিবদ্ধ হয়ে নিহত হন। গণহত্যার পর শহীদ মোহাম্মদ শরীফের মরদেহ কালামারছড়া বাজারে সমাহিত করা হয়। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড