You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.06.16 | কামুটিয়া যুদ্ধ (বাসাইল, টাঙ্গাইল) - সংগ্রামের নোটবুক

কামুটিয়া যুদ্ধ (বাসাইল, টাঙ্গাইল)

কামুটিয়া যুদ্ধ (বাসাইল, টাঙ্গাইল) সংঘটিত হয় ১৬ই জুন ও ১৮ই জুন। প্রথম দিনের যুদ্ধে ৯ জন এবং দ্বিতীয় দিনের যুদ্ধে ৫ জন পাকসেনা নিহত হয়।
কামুটিয়া টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল থানায় অবস্থিত একটি গ্রাম। বাসাইল থানা দখলের পর ১৬ই জুন সকালে আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বীর উত্তম-এর নিকট খবর আসে করটিয়া থেকে একদল হানাদার বাসাইলের দিকে এগিয়ে আসছে। সঙ্গে-সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল পাকসেনাদের মোকাবেলা করার জন্য পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে কামুটিয়া-নথখোলা খেয়াঘাটের কাছে চলে আসে। নদীর পূর্ব পাড়ের উঁচু বাঁধকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মুক্তিবাহিনী ক্রলিং করে ঘাটের আরো কাছাকাছি চলে আসে এবং হানাদারদের লক্ষ করে অতর্কিতে আক্রমণ করে। এ আক্রমণে হানাদার বাহিনী হতভম্ব হয়ে পড়ে। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ করে মর্টারের গোলা বর্ষণ করতে থাকে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড গুলি বিনিময় হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা যুদ্ধের এক পর্যায়ে পাকবাহিনী পলায়নকালে কামুটিয়া গ্রামে অগ্নিসংযোগ করে। এ-যুদ্ধে ৯ জন পাকসেনা নিহত হয়। পরবর্তীতে ১৮ই জুন পাকবাহিনী পুনরায় কামুটিয়া গ্রামে এলে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ হয়। এদিনও ৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। কামুটিয়ার যুদ্ধে সাইদুর রহমান, আবদুস সবুর খান, মোকাদ্দেছ আলী, আবদুল মালেক, সোহরাব আলী প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। [শফিউদ্দিন তালুকদার]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড