You dont have javascript enabled! Please enable it!

কাটাখালী ব্রিজ যুদ্ধ (রাজশাহী সদর)

কাটাখালী ব্রিজ যুদ্ধ (রাজশাহী সদর) সংঘটিত হয় ২৭শে মার্চ। এতে ব্রিজটি ধ্বংস হয়। এ সফল অপারেশনের ফলে মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার জনগণের মনে সাহসের সঞ্চার হয়।
সড়ক পথে নাটোর থেকে রাজশাহী শহরে প্রবেশের মুখে অবস্থিত কাটাখালী ব্রিজ ধ্বংস করে পাকিস্তানি বাহিনীর চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার ক্যাপ্টেন বজলুর রশিদ ২৭শে মার্চ কাটাখালী ব্রিজ অপারেশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০ জন মুক্তিযোদ্ধার সমন্বয়ে একটি গেরিলা দল গঠন করেন। প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র ও মাইনসহ উক্ত দল কাজীপাড়া ক্যাম্প থেকে পদ্মা নদী পার হয়ে কাটাখালীর উদ্দেশে রওনা দেন। নদী পার হয়ে তারা টাঙন গ্রামের মহসিন মাস্টারের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে খবর ছিল যে, ব্রিজটির পাহারায় -রাজাকার বাহিনীর একটি দল সর্বক্ষণ নিয়োজিত থাকে। ব্রিজটি ধ্বংস করতে হলে তাদের তাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য প্রথমেই ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে ফায়ারিং করা হয়। কিন্তু শত্রুপক্ষ থেকে কোনো পাল্টা ফায়ারিং না হওয়ায় ধারণা করা হয় যে, রাজাকাররা পালিয়ে গেছে। তখন মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে একটি দল ব্রিজে প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক স্থাপন করে ব্রিজটিতে বিস্ফোরণ ঘটায়। সঙ্গে-সঙ্গে ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে। ব্রিজটি ভাঙ্গার ফলে পাকিস্তানি বাহিনী ব্রিজের পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি করেছিল। তবে মুক্তিবাহিনীর কাটাখালী ব্রিজ অপারেশন মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার জনমনে সাহস সঞ্চার করেছিল। [মো. মাহবুবর রহমান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!