কাজীপুর গণহত্যা (গাংনী, মেহেরপুর)
কাজীপুর গণহত্যা (গাংনী, মেহেরপুর) সংঘটিত হয় ৩০শে মে ও ২রা জুন। এতে ৭ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায়। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কাজীপুর। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই এ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ভারতে চলে যায়। যুদ্ধের বিভীষিকার মধ্যেও অনেকে ঝুঁকি নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করে জায়গা-জমি চাষাবাদ করতে থাকে। অনেক দরিদ্র ক্ষেতমজুর মাঠে কাজকর্ম করে আবার ভারতে ফিরে যেত। ৩০শে মে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি সশস্ত্র দল বামুন্দি ক্যাম্প থেকে এসে এ গ্রামের নিরীহ গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালায়। তারা মাঠে কর্মরত ক্ষেতমজুরদের ছদ্মবেশী মুক্তিযোদ্ধা ভেবে গুলি চালিয়ে ৪ জনকে হত্যা করে। ২রা জুন সকালে পাকসেনারা টহল দেয়ার সময় গ্রামের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ৩ জন সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর মুন্দা গ্রামের মহিরের নেতৃত্বে ১৫ জন রাজাকার – এলাকায় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং নারীনির্যাতনে মেতে ওঠে।
কাজীপুর গণহত্যায় নিহতরা হলেন- দেলজান মণ্ডল (পিতা আহাদ আলী মণ্ডল), খাতের মণ্ডল (পিতা আজাহার মণ্ডল), জহুর শেখ (পিতা তুষ্টু শেখ), রূপচাঁদ আলী (পিতা বিশারত রায়), ছুরাত মণ্ডল (পিতা কালু মণ্ডল), আব্দুল লতিফ (পিতা হারুন ফারাজি) ও ইয়াছিন আলী (পিতা ছাদু ফারাজি)। [রফিকুর রশীদ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড