You dont have javascript enabled! Please enable it!

কাজীপুর যুদ্ধ (গাংনী, মেহেরপুর)

কাজীপুর যুদ্ধ (গাংনী, মেহেরপুর) সংঘটিত হয় ২৬শে অক্টোবর। গাংনী উপজেলা থেকে ২০ কিমি উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বর্ধিষ্ণু গ্রাম কাজীপুর। কাজীপুর এবং সাহেবনগর গ্রামের মাঝখানে সজুনিগাড়ির মাঠে এ-যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কাজীপুরের অর্ধ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা এ-যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হানিফ, আব্দুল ওহাব এবং আব্দুর রহমান এ-যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। যুদ্ধে ২ জন পাকসেনা এবং ৪ জন রাজাকার- নিহত হয়।
ঘটনার দিন কাজীপুর ও সাহেবনগর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান সনিগাড়ির মাঠে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট খবর আসে যে, কিছুক্ষণের মধ্যে বামুন্দি ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি সৈন্যরা এ পথে টহল দিতে আসবে। পরিকল্পনা করে মুক্তিযোদ্ধারা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে তাদের প্রতিরোধের জন্য হাজীদের বাগানে পজিশন গ্রহণ করেন। আব্দুল হানিফের গ্রুপে বেতবাড়িয়ার ওয়াজেদ, হিসাব উদ্দীন, সেকেন্দার, পিয়ার, আমিরুল, লালচাঁদ, শহীদুল, রেজাউল, ওহিদুল, আহাম্মদ আলী, সিরাজুল, জামাত, পাতান, তোফাজ্জেল, মোজাম্মেল ও গোলাম মোস্তফা, আব্দুল ওহাবের গ্রুপে কাজীপুরের মোজাম্মেল, কায়েম, আবুবকর, এনামুল, ওমর, সালাম, গোলাম, পাঞ্জাব আলী, আজিমুদ্দীন ও নূরুল হক এবং আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে মামুনুর রশীদ, ফরহাদ কাজী, সোহরাব, রশীদ, লতিফ, সালাম ও বারি ছিলেন। সবাইকে পজিশনে রেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে আব্দুল হানিফ ও গোলাম মোস্তফা পাকবাহিনীর আগমনের অপেক্ষা করতে থাকেন। ইতোমধ্যে পাকসেনাদের একটি গ্রুপ ১৫ জন রাজাকারসহ দুভাগে বিভক্ত হয়ে বাগান ঘিরে ফেলে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টা যুদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকসেনারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। যুদ্ধে ২ জন পাকসেনা এবং ৪ জন রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে পাকসেনাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে কাজীপুরের এক মহিলা আহত হন। [রফিকুর রশীদ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!