কাঞ্চননগর রেলওয়ে ওয়ার্কশপ অপারেশন (চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম)
কাঞ্চননগর রেলওয়ে ওয়ার্কশপ অপারেশন (চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম) পরিচালিত হয় সেপ্টেম্বর মাসে। চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলায় পরিচালিত এ অপারেশনে রাজাকারা পরাজিত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ২০টি রাইফেল হস্তগত করেন।
কাঞ্চননগর রেলওয়ে ওয়ার্কশপ ও রেললাইন ২০ জন রাজাকার নিয়মিত পাহারা দিত। মুক্তিযোদ্ধাদের সোর্স হারুন আল জাফর চৌধুরী (পিতা আবদুল জলিল চৌধুরী) এ-খবর জানালে মীর আহমদ চৌধুরী গ্রুপের একদল মুক্তিযোদ্ধা তাদের ওপর অপারেশন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের এক রাতে আনুমানিক ৩.৩০টার দিকে হাবিলদার আবু মোহাম্মদ ইসলাম গ্রুপের ডেপুটি কমান্ডার আবুল বশরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ওয়ার্কশপে পৌঁছান। তখন রাজাকারদের কয়েকজন নিদ্রিত এবং অন্যরা তাস খেলায় মগ্ন ছিল। – মুক্তিযোদ্ধারা ওয়ার্কশপের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পজিশন নিয়ে আক্রমণ শুরু করলে রাজাকাররাও পাল্টা আক্রমণ করে। ফলে উভয় পক্ষে যুদ্ধ শুরু হয়। প্রায় দুঘণ্টা যুদ্ধ চলার পর ভোর ৫.৩০টার দিকে রাজাকাররা পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ফেলে যাওয়া ২০টি থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল উদ্ধার করেন। এ অপারেশনে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন: আবুল বশর (পিতা মাওলানা মো. ইছহাক, ভাইখলিফাপাড়া, উত্তর হাশিমপুর), মোহাম্মদ ইউছুপ ওরফে ইঞ্চিয়া (পিতা খুইল্যা মিয়া, পশ্চিম হারলা), আছহাব মিয়া (পিতা মতিউর রহমান, মধ্যম চন্দনাইশ), জয়নাল আবেদীন নিলু (পিতা কাজি ওসমান গণি, জোয়ারা), জমির উদ্দিন (পিতা রাজা মিয়া, জোয়ারা), আবুল কালাম আজাদ (পিতা আহমদ হোসেন, হারলা), নুরুল আলম (পিতা আবদুল বারি, জোয়ারা), শিব্বির আহমদ (পিতা সিরাজুল ইসলাম, অইল্যার বরবাড়ি, হারলা), সামসুদ্দীন আহমদ (পিতা হোসেন আলী, হাশিমপুর), আবদুল আলিম (পিতা ওবাইদুর রহমান), ফোরক আহমদ (পিতা আবদুর রশিদ, দক্ষিণ জোয়ারা) প্রমুখ। [শামসুল আরেফীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড