কাঞ্চনা যুদ্ধ (সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম)
কাঞ্চনা যুদ্ধ (সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় নভেম্বর মাসে। এতে ২ জন রাজাকার- নিহত হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার দিন সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ধূপিপাড়া টেকের সামান্য উত্তরে একদল রাজাকারের সঙ্গে ১১৭ নং আবদুল গফুর গ্রুপের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। তখন রাত আনুমানিক ১১টা। রাজাকারদের দলে ছিল প্রায় ২০ জন সদস্য। তারা দক্ষিণ কাঞ্চনার হিন্দু অধ্যুষিত নরপাড়ায় অগ্নিসংযোগ করে ফেরার পথে ধূপিপাড়া টেকের উত্তর পাশে পৌঁছলে গফুর গ্রুপের মুখোমুখি হয়। গফুর গ্রুপ চরতি ইউনিয়নের দুরদুরি এলাকার একটি পাহাড় থেকে মাদার্শার দিকে যাচ্ছিল। কাঞ্চনা যুদ্ধে গফুর গ্রুপের পক্ষে নেতৃত্ব দেন গ্রুপ কমান্ডার আবদুল গফুর। প্রায় দুঘণ্টা যুদ্ধ চলে। যুদ্ধে ৪-৫ জন রাজাকার আহত হওয়ার পর বাকিরা পালাতে শুরু করে। দুজন রাজাকার গফুর গ্রুপের হাতে ধরা পড়ে। তাদের চোখ বেঁধে এওচিয়া ইউনিয়নের আবদুর রহমান শিকদারের বাড়ির উত্তর পাশে বখসি খিলের টেকের দক্ষিণ পাশে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে কমান্ডার আবদুল গফুর তাদের গুলি করে হত্যা করেন।
কাঞ্চনা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন— কমান্ডার আবদুল গফুর (পিতা আহমদ কবির, হাছনদণ্ডি, চন্দনাইশ), ডেপুটি কমান্ডার শ্যামাচরণ নাথ (কলাউজান, লোহাগাড়া), ব্রজেন্দ্র লাল দেবনাথ (পিতা রামানন্দ দেবনাথ, কলাউজান), দিলীপ কুমার চন্দ (সাতকানিয়া), নীল রতন দাশগুপ্ত (চরতি), ওবাইদুর রহমান (পিতা মনির আহমদ, উত্তর কাঞ্চনা), দীনবন্ধু দেবনাথ (মুলুক চোবান, আমিরাবাদ, লোহাগাড়া), জামাল (মিরসরাই), নিজাম (মিরসরাই), জাহেদ আহমদ (মিরসরাই), মনমোহন নাথ (কলাউজান) প্রমুখ। [শামসুল আরেফীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড