You dont have javascript enabled! Please enable it!

কাটাখালী ক্যাম্প যুদ্ধ (গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা)

কাটাখালী ক্যাম্প যুদ্ধ (গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা) সংঘটিত হয় ১১ই ডিসেম্বর। কাটাখালীতে পাকবাহিনীর একটি শক্তিশালী ক্যাম্প ছিল ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী আক্রমণ করে। এ আক্রমণে পাকবাহিনীর প্রায় ২০০ সেনা নিহত হয়। এরপরই গোবিন্দগঞ্জ থানা হানাদারমুক্ত হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভারতের হিলি সীমান্ত। ৯ই ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর একটি বিগ্রেড পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। এ আক্রমণে হিলির পতনের পর ৬৬ ব্রিগেডের অধিনায়ক শর্মার নেতৃত্বে একটি গোলন্দাজ বাহিনী ১১ই ডিসেম্বর ঘোড়াঘাট দখল করে গোবিন্দগঞ্জের দিকে অগ্রসর হয়। এদিন ভোরে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যৌথভাবে ঘোড়াঘাট, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জের নাকাইহাট এ তিনদিক থেকে কাটাখালী ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। গোবিন্দগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে হামিদ পালোয়ান, শ্যামলেন্দু মোহন জীবু, শামসুজ্জোহা মৃধা ও প্রদীপ কর আলো এ আক্রমণে অংশ নেন। তিনদিক থেকে ঘিরে আক্রমণ পরিচালনার ফলে পাকবাহিনী হতভম্ব হয়ে পড়ে। তারা প্রতি-আক্রমণ করলে সারাদিন যুদ্ধ চলে। এখানে প্রায় ২০০ পাকসেনা নিহত হয়। বিকেলের মধ্যে পরাজিত পাকসেনারা অস্ত্র ফেলে ইউনিফর্ম খুলে পালাতে থাকে। ১১ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ থানা মুক্ত হয়। পরদিন ১২ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা থানা বন্দরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। [বিষ্ণু নন্দী]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!