কাউননাইর গণহত্যা (বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী)
কাউননাইর গণহত্যা (বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী) সংঘটিত হয় ২৯শে এপ্রিল। রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলায় পাকবাহিনী, স্থানীয় বিহারি ও রাজাকার- বাহিনী এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
ঘটনার দিন পাকসেনাদের একটি বিশেষ ট্রেন কালুখালি জংশন থেকে রামদিয়া অভিমুখে আসে। তাদের সঙ্গে পথপ্রদর্শক হিসেবে ছিল রাজবাড়ীর কালু বিহারি, সৈয়দ খামার ও বাচ্চু মাস্টার। ট্রেনটি ঠাকুরনপাড়ার নিকট এলে একদল পাকসেনা, বিহারি ও রাজাকার তা থেকে নেমে গ্রামের দিকে এগিয়ে যায় এবং কাউননাইর মাঠের মধ্যে জনৈক চুনী হালদার নামে এক গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। তারপর গ্রামে প্রবেশ করে মহীন্দ্র বাবুদের পুকুরপাড়ে গঙ্গাকালীর ছেলে কালু দাসকে বেয়নেট দিয়ে এবং বীরেন দাস (পিতা সতীশ চন্দ্র দাস)-কে গুলি করে হত্যা করে। তারা কাউননাই গ্রামে আরো ৩৩ জনকে হত্যা করে। তারা হলেন— আচমত শেখ, তছির উদ্দিন শেখ (পিতা হুসরাত শেখ), আব্দুর রহমান শেখ (পিতা তছির উদ্দিন শেখ), রমজান মোল্যা (পিতা হোসেন আলী মোল্যা), ডা. শরৎচন্দ্র শীল (পিতা ভূষণ শীল), মোনাকা শীল (স্বামী শরৎ শীল), দুর্গানাথ শীল (পিতা যদুলাল শীল), বৈদ্যনাথ সরকার (পিতা তুষ্টলাল সরকার), মহেন্দ্র সরকার (পিতা সুধন্য সরকার), অভিমন্যু সরকার, কার্ত্তিক সরকার, কেশিবারা সরকার (পিতা কার্ত্তিক সরকার), জিতেন বিশ্বাস, যাদব বিশ্বাস, অনন্ত চুরিয়ার স্ত্রী, নন্দলাল বিশ্বাস (পিতা যাদব বিশ্বাস), বিজন কুমার বিশ্বাস (পিতা দুর্গা বিশ্বাস), করুণা কান্ত বিশ্বাস (পিতা ভৈরব বিশ্বাস), সুধীর নন্দী, পূর্ণ চন্দ্র সরকার (পিতা রবীন্দ্রনাথ সরকার), গণেশ চক্রবর্তী (পিতা যাদব চক্রবর্তী), সেকেন শেখ (পিতা তছির উদ্দিন শেখ), জ্ঞানেন্দ্রনাথ পাল (পিতা জয়ধর পাল), হরিপদ পাল (পিতা পরান পাল), মামুদ শেখ (পিতা আরমান শেখ), সোনামদ্দীন শেখ (পিতা রোকন শেখ), মোজাহার মণ্ডল (পিতা অহেদ উদ্দিন মণ্ডল), হজর উদ্দিন শেখ (পিতা কেতু শেখ), নজরুল ইসলাম, নিমাই মণ্ডল, কেয়ামদ্দিন মোল্যা (পিতা তছির উদ্দিন মোল্যা), মেছর শেখ, বক্তার মণ্ডল (পিতা জহির উদ্দিন মণ্ডল) এবং হোসেন শেখ (পিতা জনাব আলী শেখ)। [এম ইকরামুল হক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড