You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.11.17 | কাইচান গণহত্যা (ভালুকা, ময়মনসিংহ) - সংগ্রামের নোটবুক

কাইচান গণহত্যা (ভালুকা, ময়মনসিংহ)

কাইচান গণহত্যা (ভালুকা, ময়মনসিংহ) সংঘটিত হয় ১৭ই নভেম্বর। রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদাররা এ গ্রামে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায়। এতে ২০ জন মানুষ প্রাণ হারায়। গণহত্যার পাশাপাশি তারা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। গণহত্যা শেষে ফিরে যাওয়র পথে তারা মাহমুদপুর ও প্রসাদপুর গ্রামে কয়েকজনকে হত্যা করে। কংশেরকুল এবং বিরুনিয়া গ্রামে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পর রক্তপিপাসু পাকিস্তানি হানাদার সেনারা রাজাকারদের সহায়তায় কাইচান গ্রামে প্রবেশ করে। উল্লেখ্য, কংশেরকুল, বিরুনিয়া ও কাইচান গ্রাম সূতিয়া নদীর পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত। বেলা ৩টার দিকে পাকসেনারা গ্রামে ঢুকেই শুরু করে গণহত্যা, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ। তারা এ সময় অর্ধশতাধিক বাড়িতে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে। মো. তমিজ উদ্দিন (পিতা আমেদ আলী), মো. চাঁন মিয়া (পিতা হামেদ আলী মুন্সী), মো. আক্কাছ উদ্দিন (পিতা হাসেন আলী), মো. আব্দুল মজিদ (পিতা কাছুম আলী মণ্ডল), মো. আব্দুল আজিজ (পিতা হাসেন আলী)-সহ ২০ জন মানুষ তাদের গণহত্যার শিকার হয়। তাদের সকলের পরিচয় জানা যায়নি। কংশেরকুল, বিরুনিয়া ও কাইচান গণহত্যার পর বিকেল ৪-৫ টার দিকে পাকহানাদার বাহিনীর একটি দল মাহমুদপুর ও প্রসাদপুর হয়ে গফরগাঁও থানা ক্যাম্পে চলে যায়। যাবার পথে এ দলটি মাহমুদপুর গ্রামের হানিফা শেখ ও মো. মোরশেদ আলী এবং প্রসাদপুর গ্রামের শর্মিলা সাহা ও নূরুল ইসলামকে হত্যা করে। পাকহানাদার বাহিনীর অপর দলটি পনাশাইল হয়ে ভালুকা থানা ক্যাম্পে ফিরে যায়। [মো. শফিকুল ইসলাম কাদির]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড