You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযুদ্ধে কাউখালী উপজেলা (রাঙ্গামাটি)

কাউখালী উপজেলা (রাঙ্গামাটি) চট্টগ্রাম জেলার রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ির সীমান্ত ঘেঁষা একটি পাহাড়ি এলাকা। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এ উপজেলা কোতোয়ালি থানার অধীনে ছিল। এখানে মাত্র একটি ইউনিয়ন ছিল – কলমপতি ইউনিয়ন, আর মৌজা ছিল ১০টি। চাকমা, মার্মা ও ত্রিপুরাসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস ছিল এখানে। বাঙালি ছিল খুবই কম। লোক সংখ্যা ছিল ৫ থেকে ৬ হাজারের মতো। কলমপতি ইউনিয়নই পরবর্তীতে বেতবুনিয়া থানা ও পরে কাউখালী উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। এ উপজেলার আয়তন ৩৩৯.২৯ বর্গকিলোমিটার। এর উত্তরে নানিয়ারচর ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা, দক্ষিণে রাঙ্গুনিয়া, পূর্বে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে রাউজান উপজেলা।
এ উপজেলার অধিকাংশ লোকই ছিল কৃষক ও ব্যবসায়ী। মৌসুমী বিভিন্ন ফসলাদি উৎপাদন করে তারা জীবিকা নির্বাহ করত। কাউখালী ও বেতবুনিয়ায় দুটি বাজার ছিল। সপ্তাহে একদিন বাজার বসত। আশপাশের ব্যবসায়ীরা এখানে পণ্য কেনাবেচার জন্য আসত। উপজেলায় চলাচলের তেমন কোনো রাস্তা ছিল। রাঙ্গামাটি জেলার অন্তর্গত হলেও এ উপজেলার লোকজনের যাতায়াত ছিল রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান উপজেলার সঙ্গে।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিলে সারাদেশ যখন উত্তাল হয়ে ওঠে, তখন এ উপজেলায় তার উত্তাপ তেমন একটা ছড়ায়নি, যদিও পার্শ্ববর্তী রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান উপজেলার লোকজন বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। যোগাযোগের অব্যবস্থা এবং অসচেতনতার কারণে এ উপজেলার লোকজন আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামাত না। তবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা অনেকটা রাউজান-নির্ভর হয়ে পড়ে। কেননা রাউজান পাকিস্তানি বাহিনীর দখলে চলে গেলে কাউখালী দখলে নেয়া তাদের জন্য ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই অনেকেই আগেভাগে নিরাপদ স্থানে চলে যায়।
২৬শে মার্চের পর থেকেই দলে-দলে লোকজন রামগড় হয়ে সীমান্তে যাওয়ার জন্য কাউখালী উপজেলার চৌধুরী পাড়া রাস্তাটি ব্যবহার করে। কারণ এ রাস্তা দিয়ে রামগড় যাওয়া সহজ ছিল। এছাড়া ইপিআর জওয়ান ও প্রশিক্ষণে গমনেচ্ছু মুক্তিযোদ্ধারাও এপথ দিয়ে আসা-যাওয়া করতেন। স্থানীয়রা তাঁদের পথ দেখিয়ে দিত এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করত। ইউপি চেয়ারম্যান চা থৈয়াই রোয়াজা, হেডম্যান কে জে প্রু চৌধুরী, ব্যবসায়ী আহমদ ছফা, বদিউল আলম, কাজী মামুন, আলী আহমদ, ডা. আবু
বকর সিদ্দিক, হিমাংশু দত্ত প্রমুখ স্থানীয় লোকজন শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতেন। পথিমধ্যে যাতে কেউ শরণার্থীদের আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের সীমান্তের দিকে এগিয়ে দিতেন। ইউপি চেয়ারম্যান অনেককে অর্থ দিয়েও সহযোগিতা করতেন। মার্চের শেষ থেকে রাঙ্গিপাড়ায় শতশত শরণার্থী আসতে থাকে৷
কাউখালী উপজেলার লোকজনের বেশি যোগাযোগ ছিল রাউজানের সঙ্গে। তাছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করত রাউজান হাইস্কুলে। তাই ৭ই মার্চের পর স্থানীয় ছাত্র-যুবকরা রাউজানের আন্দোলন-সংগ্রামে শরিক হতেন। স্থানীয় মুরুব্বিদের মধ্যে চেয়ারম্যান চা থৈয়াই রোয়াজা, হেডম্যান কে জে প্রু চৌধুরী, বদিউল আলম, অংশু প্রু চৌধুরী, কাজী মামুন, আলী আহমদ, আহমদ ছফা, ডা. আবু বকর সিদ্দিক, হিমাংশু দত্ত, পোয়াপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিধু ভূষণ ভট্টাচার্য প্রমুখ স্থানীয় ছাত্র-যুবকদের এলাকা পাহারা দেয়ার কাজে সহযোগিতা করেন। পরে বিধু ভূষণ ভট্টাচার্য মুক্তিযুদ্ধেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মণীন্দ্র চাকমা, মিলন পালিত, আবদুস সালামসহ স্থানীয় অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তবে স্থানীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
উপজেলার বালুখালীতে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। ক্যাম্পের কমান্ডার ছিলেন হাশেম ও মোহাম্মদ জাফর। তাঁদের বাড়ি ছিল চট্টগ্রামের রাউজানে।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ৬ জন নিরস্ত্র পাকসেনা পালাতে গিয়ে রাবার বাগানের পাহাড়ে স্থানীয় যুবকদের হাতে ধরা পড়ে। যুবকরা তাদের বেতবুনিয়া ক্যাম্পে নিয়ে আটকে রাখে। পরে রাউজান থেকে মুক্তিযোদ্ধারা এসে তাদের নিয়ে যায় এবং হত্যা করেন। পার্শ্ববর্তী রাউজান উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা রফিক চৌধুরী, আলী আহমদ ও কাজী শামসুর পরামর্শে কাউখালী উপজেলার লোকজন স্থানীয় ছাত্র- যুবকদের নিয়ে রাত জেগে এলাকা পাহারা দিত। তবে এ উপজেলায় পাকসেনাদের প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। রাউজানের প্রতিরোধই ছিল মূলত এ উপজেলার প্রতিরোধ ব্যবস্থা, কারণ রাউজানের প্রতিরোধ ভেঙ্গে গেলে পাকিস্তানি বাহিনী সহজেই কাউখালীতে প্রবেশ করতে পারত। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানি বাহিনী রাউজানে প্রবেশ করে ব্যাপক হত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে। এর দু- একদিনের মধ্যেই তারা কাউখালীর বেতবুনিয়ায় প্রবেশ করে। বেতবুনিয়ায় ঢুকেই তারা পুলিশ স্টেশনে আশ্রয় নেয়। এরপর তারা রাঙ্গুনিয়ার দিকে এগুতে থাকে। প্রথম দিকে তারা বেতবুনিয়ায় কোনো ক্যাম্প স্থাপন করেনি। পরবর্তীতে তারা বেতবুনিয়া সড়ক ও জনপথ অফিস, রাবার বাগান, ঠান্ডাছড়ি, ফরেস্ট বাংলো ও পুলিশ স্টেশনে তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে। তবে এসব ক্যাম্পে পাকসেনারা সব সময় থাকত না। মূলত রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া থেকেই তারা এসব ক্যাম্পে আসা-যাওয়া করত। স্থানীয় রাজাকার রা এসব ক্যাম্পে অবস্থান করত।
কাউখালী উপজেলায় মৌজা ছিল ১০টি। এসব মৌজার হেডম্যানরা ছিল চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের অধীনে। রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দিলে হাতেগোনা দু-তিন জন ছাড়া অন্যরা পাকিস্তানিদের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। হেডম্যানদের পাশাপাশি কার্বারীরাও (পাড়াপ্রধান) পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করতে থাকে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাকবাহিনীকে সরবরাহ করে।
রাঙ্গিপাড়ায় সূর্যনাথ চাকমা একজন রাজাকার কমান্ডার ছিল। তার অধীনে এক প্লাটুন রাজাকার ছিল। তারা পাকিস্তানিদের সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করত এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ও কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাকিস্তানিদের দিত। রাউজান ও রাঙ্গুনীয়া থেকে রাজাকার ও মুজাহিদ বাহিনীর সদস্যরা এসে এ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিত এবং তারা স্থানীয় লোকজনদের মালামাল লুট করত। স্থানীয় লোকজনের গরু- ছাগল ও ক্ষেতের ফসলাদি জোর করে নিয়ে যেত স্থানীয়দের অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সে সুযোগে এসব ঘরবাড়ি ও দোকানপাটের মালামালও লুট করে নিয়ে যায় রাজাকাররা। এছাড়াও বেতবুনিয়ায় আবুল খায়ের বিহারি পাকিস্তানি ও রাজাকারদের ক্যাম্প করে দেয়। সে পাকিস্তানিদের হয়ে বেতবুনিয়ায় সক্রিয় ছিল। তার বাহিনী রাইফেল কাঁধে চলাফেরা করত এবং লোকজনদের ভয়-ভীতি দেখাত। পাকিস্তানিদের সহযোগী আরো যারা ছিল তাদের মধ্যে কংজ প্রু মারমা, আবুল খায়ের মেম্বার ও নুরুল হকের নাম উল্লেখযোগ্য।
পাকিস্তানি বাহিনী রাঙ্গামাটি দখলে নেয়ার পর কাউখালীতে তাদের দোসররা সক্রিয় হয়ে ওঠে। রাঙ্গিপাড়ায় সূর্যনাথ চাকমাসহ স্থানীয় চাকমারা এবং বেতবুনিয়ায় আবুল খায়ের বিহারি ও রাজাকাররা স্থানীয় লোকজনদের নানাভাবে নির্যাতন করত। এদের সহযোগিতায় পাকিস্তানিরা স্থানীয় অনেক নারীকে ধর্ষণ করে। ঘরে-ঘরে তল্লাশি চালিয়ে পুরুষদের বন্দি করে নারীদের ধর্ষণ করে। চেয়ারম্যান চা থৈয়াই রোয়াজার বাসায় ৬-৭টি হিন্দু পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। কাউখালী বাজারের দোকানদার ব্রজ গোপাল চৌধুরীও পরিবার নিয়ে তার বাসায় আশ্রয় নেয়। এ খবর জানতে পেরে পাকিস্তানিরা রাজাকারদের সহযোগিতায় চেয়ারম্যানের বাসায় তল্লাশি চালায়। এ-সময় অন্যরা পালিয়ে যেতে পারলেও সবিতা নামে এক তরুণী বের হতে পারেনি। তাকে পাকিস্তানিরা ধর্ষণ করে। রাজাকারদের সহায়তার পাকিস্তানি বাহিনী বিভিন্ন সময়ে উপজেলার অনেক নারীকে ধর্ষণ করে।
মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় এবং সহযোগিতা করার অভিযোগে চেয়ারম্যান চা থৈয়াই রোয়াজার ওপর হুলিয়া জারি করে পাকিস্তানিরা। তারা ঘোষণা করে চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের জীবিত অথবা মৃত ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কৃত করা হবে। রাজাকার ও পাকিস্তানিরা একদিন চেয়ারম্যানের বাসা ঘেরাও করে। এ-সময় ঘরে কাউকে না পেয়ে তাঁর বেশ কয়েকটি ধানের গোলা পুড়িয়ে দেয়। সূর্যনাথ চাকমা, আবুল খায়ের বিহারি ও রাজাকাররা কাউখালী এবং বেতবুনিয়ায় ব্যাপক লুটপাট চালায়। একদিন রানীরহাট থেকে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তানিরা কাউখালী বাজারে আসে। কিন্তু কাউকে না পেয়ে ব্যবসায়ী আবদুল মালেক ও জাফরের দোকানসহ কয়েকটি দোকান পুড়িয়ে দেয় এবং ভীতি সঞ্চার করার জন্য ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
আগস্টের শেষের দিকে ইপিআর ও মুক্তিযোদ্ধারা বালুখালীতে ক্যাম্প করেন। এটি ছিল কচুয়া রাবার বাগান সংলগ্ন। সেখানে স্থানীয় লোকজন তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করত। এ ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধারা রাঙ্গুনিয়া, রাউজান ও ফটিকছড়ি নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং বিভিন্ন অপারেশনে যেতেন। তাঁরা রাউজানের নোয়াপাড়া গিয়েও যুদ্ধে অংশ নিতেন।
১নং সেক্টরের অধীন হরিণা ক্যাম্প থেকে ৩০ কিমি দূরবর্তী সীমান্ত এলাকা ভারতের বৈষ্ণবপুরে আগস্ট মাসের প্রথম দিকে সাব-সেক্টর স্থাপন করা হয়। সেখানে অবস্থানরত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় গেরিলা আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। পার্বত্য এলাকায় অবস্থানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের চলাচলের সুবিধা, শত্রুপক্ষের ঘাঁটি আক্রমণ এবং পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত নাকাপা, কুমারীপাড়া, পাগলাপাড়া, মানিকছড়ি, ডাইনছড়ি, যোগ্যাছলা ও গাড়ীটানা এলাকার গহীন অরণ্যে মুক্তিবাহিনীর গোপন ক্যাম্প বা আশ্রয়স্থল করা হয়। এসব ক্যাম্পে ঐ এলাকার হেডম্যান কার্বারীসহ সকল স্তরের জনগণ খাবার সরবরাহ করত এবং ঐসব এলাকার জনগণ মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তানি বাহিনীর গতিবিধি এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে সাহায্য করত। ভারতের হাফলং-এ অবস্থিত বিএসএফ ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল গ্রুপ কমান্ডার নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ৯ই ডিসেম্বর কাউখালী উপজেলার অন্তর্গত বেতবুনিয়া ও বালুখালীতে গেরিলা অপারেশন পরিচালনা করে। এ-যুদ্ধে গ্রুপ কমান্ডার নাজিম উদ্দিন শহীদ হন। আহত অবস্থায় মোহাম্মদ জাফরকে পাকিস্তানি বাহিনী জিপের সঙ্গে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে হত্যা করে।
রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বেতবুনিয়া দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী রসদ নিয়ে চলাচল করত। ১১ই ডিসেম্বর তাদের দুটি গাড়ি রসদ নিয়ে রাঙ্গামাটির দিকে যাওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধারা বেতবুনিয়াস্থ চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কে অবস্থিত কালভার্টের ওপর অতর্কিতে গাড়ির ওপর গেরিলা আক্রমণ চালান। এতে ঘটনাস্থলে গাড়ির ড্রাইভারসহ ২ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। পাকসেনাদের দ্বিতীয় গাড়িটি আর সামনে না এগিয়ে পেছনে ফিরে যায়। উক্ত গেরিলা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ হতাহত হননি। ১৬ ডিসেম্বর কাউখালী উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
এ উপজেলায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নেই। তবে ৯ই ডিসেম্বর বেতবুনিয়া ও বালুখালীতে পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে গেরিলা অপারেশনে ২ জন বাইরের মুক্তিযোদ্ধা যথা নাজিম উদ্দিন (কমান্ডার) ও মোহাম্মদ জাফর (রাউজান) শহীদ হন। [ইয়াছিন রানা সোহেল]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!