কসবা যুদ্ধ (গৌরনদী, বরিশাল)
কসবা যুদ্ধ (গৌরনদী, বরিশাল) ২৮শে নভেম্বর সংঘটিত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের এ-যুদ্ধে কমান্ডার আবদুস সাত্তার খন্দকার শহীদ হন।
২৫শে এপ্রিল হানাদার বাহিনী গৌরনদী উপজেলায় অনুপ্রবেশ করে গৌরনদী কলেজ, গৌরনদী থানা ও ভুরঘাটায় ক্যাম্প স্থাপন করে। পরবর্তীতে তারা বাটাজোড় অশ্বিনী কুমার ইনস্টিটিউশন, মাহিলাড়া ও বামরাইলে ক্যাম্প স্থাপন করে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য বিভিন্ন ব্রিজে বাংকার স্থাপন করে পাহারা দিতে থাকে। গৌরনদী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিমি উত্তর দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের হযরত মল্লিক দুত কুমার পীরের মাজার সংলগ্ন কসবা ব্রিজে তারা বাংকার তৈরি করে। সশস্ত্র রাজাকার-রা এখানে পাহারায় থাকত। গৌরনদী কলেজ ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তারা প্রায়ই গাড়িতে করে এসে এখানকার বাংকার পরিদর্শন করত। হানাদাররা এখান থেকে আশপাশের গ্রামগুলোতে নির্যাতন ও লুণ্ঠন চালাত।
পাকিস্তানি বাহিনীর এ বাংকার ধ্বংসের জন্য কমান্ডার আবদুস সাত্তার খন্দকারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপ কসবা ব্রিজের নিকট মল্লিক দ্রুত কুমার পীরের মাজারের পাশে ঋষি বাড়ির জঙ্গলে অবস্থান নেয়। ২৮শে নভেম্বর তাঁরা পাকিস্তানি বাহিনীর বাংকার আক্রমণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের আকস্মিক আক্রমণে হানাদার বাহিনীর কয়েকজন সদস্য হতাহত হয়। মাথায় হেলমেট পরা অবস্থায় গুলি ছোড়ার সময় বিপরীত দিক থেকে হানাদারদের গুলিতে কমান্ডার আবদুস সাত্তার খন্দকার শহীদ হন। সহযোদ্ধারা তাঁকে মোল্লার খালপাড়ে সমাহিত করেন। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড