You dont have javascript enabled! Please enable it! কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি - সংগ্রামের নোটবুক

কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি

কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে পাকবাহিনীর নৃশংস নির্যাতন ও গণহত্যার সময় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকদের সাহায্যার্থে ৩রা এপ্রিল কলকাতায় গঠিত একটি সংগঠন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের শিক্ষকবৃন্দ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের এক যৌথসভায় এ সমিতি গঠিত হয়। সমিতির সভাপতি ছিলেন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ সেন, কার্যনির্বাহী সভাপতি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক পি কে বসু, কোষাধ্যক্ষ উপ-উপাচার্য (অর্থ) অধ্যাপক হীরেন্দ্রমোহন মজুমদার, সম্পাদক অধ্যাপক ডি কে চক্রবর্তী এবং যুগ্ম- সম্পাদকবৃন্দ অধ্যাপক ইলা মিত্র, অধ্যাপক এস এন ভট্টাচার্য, অধ্যাপক এস কে মিত্র ও অধ্যাপক এস দাশগুপ্ত। সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত হতো বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারভাঙ্গা ভবনে এবং বিধান সরণির ১৪ নং বাড়িতে।
প্রধানত শিক্ষকদের সাহায্যের জন্য গঠিত হলেও এর পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতি ভারত সরকার ও অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি আদায়, বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধের লক্ষ্যে কাজ করা এবং যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী শরণার্থীদের সাহায্য করাও এ সমিতির উদ্দেশ্য ছিল। তাই নিম্নোক্ত সাতটি লক্ষ্য সামনে রেখে সমিতি কাজ শুরু করে: (ক) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন, প্রচার ও সাহায্যের আবেদন; (খ) ভারতে আশ্রিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা গ্রহণ ও শিক্ষকদের কর্মসংস্থান; (গ) মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প পরিদর্শন ও সাহায্য প্রদান; (ঘ) ত্রাণকার্য পরিচালনা; (ঙ) চিত্রপ্রদর্শনী; (চ) তথ্যসংগ্রহ এবং (ছ) প্রকাশনা।
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ সেন ৫ই এপ্রিল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান এবং শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট আবেদন জানান। যাঁদের নিকট আবেদন জানান তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী এবং ইউনেসকো- র মহাপরিচালক রেনে মাহিউ (Rene Maheu)। আবেদনপত্রে বাংলাদেশে সংঘটিত পাকবাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বিবরণ তুলে ধরা হয়। উভয়েই গণহত্যার শিকার জনগণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের স্বজনদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন।
সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারণ জনগণ, বিশেষত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট অর্থসাহায্যের আবেদন জানানো হয়। এতে সাড়া দিয়ে প্রথমেই এগিয়ে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের খ্যাতিমান শিক্ষক, বোস-আইনস্টাইন তত্ত্বের অন্যতম উদ্ভাবক এবং ভারতের জাতীয় অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বোস। পর্যায়ক্রমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থিগণ, বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষগণ।
এ সময় বাংলা গানের তিন কিংবদন্তী শিল্পী সলিল চৌধুরী, সবিতা চৌধুরী ও মান্না দে বোম্বে অবস্থান করছিলেন। তাঁরা ‘বাংলা আমার বাংলা’ শীর্ষক একটি গানের রেকর্ডের সম্পূর্ণ রয়্যালটি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য সহায়ক সমিতিকে দান করেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত মাসিক অনুদান দিতেন। অর্থসাহায্যের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় গ্রহণকারীদের এবং বিভিন্ন রণাঙ্গনে যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য শীতবস্ত্র, ট্রানজিস্টর, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা-সরঞ্জাম দান করেন।
বাংলাদেশকে সাহায্যের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বেশ কয়েকটি রাজ্যে এবং ভারতের বাইরেও বিভিন্ন দেশে সহায়ক সমিতি গড়ে উঠেছিল। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম সহায়ক সমিতি (পুনা), বাংলাদেশ এইড কমিটি (বোম্বে), ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর বাংলাদেশ, বোম্বে ইউনিভার্সিটি কমিটি ইত্যাদি। ভারতের বাইরের কয়েকটি সমিতি হলো ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ মুভমেন্ট (শিকাগো), ফ্রেন্ডস অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি (লন্ডন), বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাকশন কাউন্সিল (লন্ডন), বাংলাদেশ গ্রিন ক্রস (লন্ডন) এবং আউট টু দ্য পিপল (শ্রীলঙ্কা)। এসব সমিতি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহায়ক সমিতির মাধ্যমেই সাহায্য পাঠাত।
বিভিন্ন পর্যায়ের যেসব শিক্ষক ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সমিতির পক্ষ থেকে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বাংলাদেশী শিক্ষক- পণ্ডিতদের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে নিয়োগের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে এ প্রকল্প সমগ্র ভারতে ছড়িয়ে দেয়া হয়। রাজ্য সরকারগুলোর অনুমতি নিয়ে স্কুল পর্যায়েও এ প্রকল্প বিস্তৃত করা হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশী ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য স্কুল সেকশনসহ ক্যাম্প-কলেজ স্থাপন করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডিসহ অনেক বিদেশী এবং ভারতীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে এবং এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রচুর অর্থ দান করে।
২১শে মে সহায়ক সমিতি এবং বাংলাদেশী শিক্ষকদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সভায় ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’ নামে একটি সমিতি গঠিত হয়। এর সভাপতি, নির্বাহী সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন যথাক্রমে ড. এ আর মল্লিক (আজিজুর রহমান মল্লিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য), মো. কামরুজ্জামান (ঢাকার জুবিলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক) এবং ড. আনিসুজ্জামান (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এমিরিটাস অধ্যাপক)। সহায়ক সমিতির উদ্যোগে জুন মাসে ড. মল্লিকের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি টিম উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন স্থান ও বিশ্ববিদ্যালয় সফর করে এবং বাংলাদেশে গণহত্যা ও ভারতে আশ্রিত শরণার্থীদের মানবেতর জীবনের বর্ণনা দেয়। এর ফলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ শরণার্থীদের সম্পর্কে স্থানীয়দের মনে সহমর্মিতার সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশে পাকবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যার সঠিক তথ্য বিশ্ববাসীর নিকট তুলে ধরার জন্য সহায়ক সমিতির পক্ষ থেকে বেশকিছু বুকলেট, ব্রুশিয়্যার ও গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। সে-সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ৬-দফা দাবী, মুজিবরের ঐতিহাসিক ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ, Bangladesh : The Truth, Conflict in East Pakistan: Background and Prospects, Bangladesh: Through the Lens, Bangladesh : Throes of a New Life, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, Pakistanism and Bengali Culture Ges Bleeding Bangladesh (Picture Album) I এ গ্রন্থগুলো বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ, সংসদ-সদস্য এবং পত্র-পত্রিকার অফিসে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. এস কে মুখার্জী প্রণীত এবং পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত Bangladesh and International Law শীর্ষক গ্রন্থের ৫০০ কপি সহায়ক সমিতিকে দান করা হয়, যা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এর ফলে বাংলাদেশে চলমান নৃশংস গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে বহির্বিশ্ব সম্যকরূপে অবহিত হয় এবং এসব বন্ধের ব্যাপারে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও দেশ আগ্রহী হয়ে ওঠে।
সহায়ক সমিতি এ-সময় আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। কলকাতার মেসার্স নয়া প্রকাশ প্রকাশিত সেনা- প্রশিক্ষণ বিষয়ক প্রাথমিক যুদ্ধবিদ্যা শীর্ষক একখানা গ্রন্থ প্রত্যেক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রেরণ করে। গ্রন্থটি বাংলাদেশের তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হয়। বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটছে তা সঠিকভাবে জানার জন্য ভারতে ‘বাংলাদেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সহায়ক সমিতি এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশ্নমালা তৈরি করে দেয়। বাঙালিদের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ববাসীর সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে সহায়ক সমিতি নানা কৌশল অবলম্বন করে। সমিতি বাঙালিদের ওপর পাকবাহিনীর অত্যাচার, গণহত্যা এবং শরণার্থীদের দুরবস্থার ছবি তুলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে হাজার-হাজার লোক অংশ নেয়। পশ্চিমবঙ্গে এরূপ তিনটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ৯ই মে কলকাতার সার্কাস এভিন্যুতে আয়োজিত হয় প্রথম প্রদর্শনী। এতে প্রায় দুহাজার দর্শনার্থী অংশগ্রহণ করে। দ্বিতীয় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় নবীনচন্দ্র বড়াল লেনে। এ প্রদর্শনী চলে ২১, ২২ ও ২৩শে মে এবং দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় চার হাজার। তৃতীয় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় চব্বিশ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গায়। ২৫, ২৬ ও ২৭শে মে তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ হাজার। পুনার ‘বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম সহায়ক সমিতি’-র আমন্ত্রণে জুলাই মাসে সেখানে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এরপর বোম্বেসহ মহারাষ্ট্রের অন্যান্য স্থানেও অনুরূপ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণের জন্য আগস্ট মাসে সহায়ক সমিতি একটি তথ্যব্যাংক গড়ে তোলে। এর কেন্দ্র ছিল নেতাজী ভবনে। বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দল এতে সহায়তা দেয়। কলকাতার প্রথম শ্রেণির পত্র- পত্রিকাসহ অনেক বিদেশী পত্র-পত্রিকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কলকাতার প্রথম শ্রেণির বিজ্ঞাপন সংস্থাসমূহের সমন্বয়ে এটি করা হয়। বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবকদের ইচ্ছানুযায়ী সহায়ক সমিতির এক সভায় ব্যাংককে স্বেচ্ছাসেবক সার্ভিস দল কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়।
১৬ই ডিসেম্বর ঢাকায় পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের পূর্বে ১৪ই ডিসেম্বর ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা যেসব বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে, তাঁদের প্রথম তালিকাটি এই সহায়ক সমিতিই সংগ্রহ করে এবং স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় তা প্রকাশ করে। স্বাধীনতার পরে সমিতি প্রায় বছরকাল যাবৎ বাংলাদেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্নির্মাণে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারগুলোকে সাহায্য করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে সহায়ক সমিতিকে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করে। [দুলাল ভৌমিক]
সহায়ক গ্রন্থ: Report published by the Calcutta University Bangladesh Sahayak Samiti, Darbhanga Building, Calcutta – 12, December 1971; বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান’, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ : ঢাকা ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান, সংকলন ও সম্পাদনা: রংগলাল সেন, দুলাল ভৌমিক ও তুহিন রায়, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ঢাকা ২০০৯।

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড