কল্যাণপুর গণহত্যা (নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ)
কল্যাণপুর গণহত্যা (নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ) সংঘটিত হয় ২১শে নভেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক। এ গণহত্যায় মামদপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন মানুষ শহীদ হন। নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুরের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত মামদপুর একটি হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম। হানাদার বাহিনী স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় ২১শে নভেম্বর এ গ্রাম আক্রমণ করে। তারা বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও কয়েকজন নারীকে ধর্ষণের পর ২ জনকে হত্যা করে। অতঃপর গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষকে ধরে পাকবাহিনীর দিনারপুর হাইস্কুল ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সারারাত নির্যাতন শেষে পরদিন ভোরে তাদের নিয়ে বাহুবলের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে হানাদাররা আউশকান্দি-মীরপুর সড়কের কল্যাণপুর নামক স্থানে পুরুষ বন্দিদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রাইফেলের গুলিতে হত্যা করে এবং কয়েকজন যুবতীকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। হানাদার বাহিনী চলে যাওয়ার পর স্থানীয় জনগণ শহীদদের মৃতদেহ গর্ত খুঁড়ে গণকবরে সমাহিত করে। গণহত্যায় সকল শহীদদের পরিচয় জানা যায়নি। যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, তারা হলেন— কালীপদ চক্রবর্তী, বীরেন্দ্র চক্রবর্তী, বাণী চক্রবর্তী, সজল চক্রবর্তী ও পুলিন চন্দ্র হাওলাদার। [মুহম্মদ সায়েদুর রহমান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড