কল্যাণী স্মৃতিস্তম্ভ (শেরপুর, বগুড়া)
কল্যাণী স্মৃতিস্তম্ভ (শেরপুর, বগুড়া) শেরপুরের সুঘাট ইউনিয়নের কল্যাণীতে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ এলাকায় পাকহানাদার বাহিনী গণহত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তারা কল্যাণী গ্রামের শতাধিক বাসিন্দাকে হত্যা করে। তাদের স্মরণে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। বাঙালি নদীর পাড়ে দাঁড় করিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোতে অনেক মৃতদেহ নদীতে ভেসে যায়। মাত্র ২০ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। স্মৃতিস্তম্ভে তাদের নাম লেখা রয়েছে। তারা হলেন— ধীরেন্দ্রনাথ পাল, যোগেশ্বর পাল, ঢলু পাল, মতিলাল পাল, হারান পাল, সুদেব পাল, রাজেন পাল, লাল বিহারী পাল, চত্ত পাল, কৃষ্ণ লাল পাল, ক্ষুদিরাম শীল, রাধিকা নাথ পাল, মনেন্দ্র মোহন্ত, বাদুলী পাল, মনীন্দ্রনাথ পাল, নারায়ণ পাল, মনীন্দ্রনাথ প্রকৌশলী, পুষ্প পাল, নেংড়া পাল ও শ্রীবাস পাল। [সেলিনা শিউলী]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড