কর্ণফুলী নদীতে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর এম্বুশ
কর্ণফুলী নদীতে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর এম্বুশ (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম) করা হয় ১৪ই আগস্ট। এতে কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য আহত হয়।
ঘটনার দিন মুক্তিযোদ্ধাদের শেল্টার চিরিঙ্গা ফরেস্ট অফিস ক্যাম্পে খবর আসে যে, চন্দ্রঘোনা পেপার মিল ঘাঁটি থেকে একদল পাকিস্তানি সৈন্য নদীপথে লঞ্চযোগে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প আক্রমণ করবে। এ খবর পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে কমান্ডার নূরুল আলমের নেতৃত্বে ডেপুটি কমান্ডার আমীন শরীফ (রাঙ্গুনিয়া), আবু বকর সিদ্দিক (মুন্সিগঞ্জ), নূরন্নবী (রাঙ্গুনিয়া), বাদশা আলম (রাঙ্গুনিয়া), তিমির আইচ (রাঙ্গুনিয়া), আবু তাহের (রাঙ্গুনিয়া), হেমন্ত দাশ (রাঙ্গুনিয়া), দুলাল বড়ুয়া, মণীন্দ্র বড়ুয়া, অমর বড়ুয়া, কালাঞ্জয় চাকমা, উদয়শংকর বড়ুয়া, সুজন বড়ুয়া, শ্যামল, ধনাঢ্য বড়ুয়াসহ ১৫ জনের একটি গ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সুবিধাজনক স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেয়। লঞ্চটি কাছে আসতেই দেখা যায় লঞ্চের ওপর ২০-২৫ জন পাকিস্তানি সেনা চারদিকে অস্ত্র তাক করে আছে। গুলির রেঞ্জের মধ্যে আসার সঙ্গে-সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর ফায়ার করেন। এতে কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য আহত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে লঞ্চটি দ্রুত গতিতে কালুঘাটের দিকে চলে যায়। এরপর থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নদীপথে চলাচল বন্ধ করে দেয়। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড