You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযুদ্ধে কমলগঞ্জ উপজেলা

কমলগঞ্জ উপজেলা (মৌলভীবাজার) একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা। এর উত্তরে রাজনগর উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে কুলাউড়া উপজেলা ও ভারতের আসাম এবং পশ্চিমে শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা। ১৯৬৮- ৬৯ সালে করাইয়ার হাওর কৃষক-আন্দোলন সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে ও পরে দুবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানে জনসভা করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা, বিশেষ করে এ উপজেলার শমশেরনগর রাজনৈতিকভাবে অনেক অগ্রসর ছিল। এখানে ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগ- এবং বিভিন্ন বামপন্থী রাজনৈতিক দলের শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো ছিল। দখলদার পাকবাহিনী মার্চের শুরু থেকে শমশেরনগর ও কমলগঞ্জ সদরের ওপর নজর রাখার জন্য নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা করে। ১৯৭১ সালের মার্চে তারা নকশাল দমনের নামে বাঙালি সেনা কর্মকর্তা মেজর খালেদ মোশাররফকে শমশেরনগরে প্রেরণ করে। খালেদ মোশাররফ শমমেরনগরে এসে নকশাল দমন নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনতার প্রবল ও সক্রিয় সমর্থন ও কার্যক্রম লক্ষ করেন।
ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে শমশেরনগরে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। স্থানীয়ভাবে শমশেরনগরে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কমলগঞ্জের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদুর রহমান ভারতের উত্তর ত্রিপুরার কমলপুর সাব-সেক্টর ক্যাম্পে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দলকে এখানে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
কমলগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুর ওরফে নেতা গফুর, ডা. চেরাগ উদ্দীন, কদর মিয়া, ক্যাপ্টেন মোজাফ্ফর আহমদ, ক্যাপ্টেন সাজ্জাদুর রহমান, আমজাদ আলী, বেলায়েত আলী, আব্দুল মান্নান, আব্দুল বাছিত, আলাল উদ্দীন, ময়না মিয়া, অরুণাভ পাল, দীপ্তি কুমার দাস, ছাত্রনেতা খালেকুর রহমান, কদর মিয়া, মৃণাল কান্তি ধর চৌধুরী, আলী আকবর, জব্বার শেখ, হাবিব বাশার, আব্দুস সোবহান, ক্ষিতীশ চন্দ্র মল্লিক, নির্মল কুমার দাশ, মহাবীর রবিদাস, আব্দুর রহিম দুধ মিয়া, বলাই ফকির, অজিত কুমার বর্ধন, আব্দুল হাই, নিমাই লোহার, আব্দুল মন্নান চৌধুরী, আব্দুস সালাম চৌধুরী, আব্দুল মজিদ চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম লুকু, সত্যেন্দ্র দেবনাথ নারায়ণ, তোফাজ্জল হোসেন, আহমদ হোসেন, পতন ঊষারের ওমর আলী, হাজীপুরের হাবিব বক্ত প্রমুখ।
শমশেরনগরে বিক্ষুব্ধ জনতার নিয়মিত মিছিল চলাকালে ২৭শে মার্চ এক জিপ পাকসেনা এসে নিরীহ বাঙালিদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় সিরাজুল ইসলাম নামে একজন বৃদ্ধ নিহত হন। এর প্রতিবাদে শমশেরনগরবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে মেজর খালেদ মোশাররফের উপদেশমতো পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২৮শে মার্চ বিকেলে স্বাধীনতাকামী ও বিক্ষুব্ধ জনতা তিন দিক থেকে পাকবাহিনীকে আক্রমণ করে। শমশেরনগর প্রতিরোধ যুদ্ধ নামে খ্যাত এ জন-আক্রমণে পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেন গোলাম রসুল-সহ ১১ জন পাকসেনা নিহত হয়।
৭ই মার্চের পর থেকেই এখানে পাকবাহিনীর নিয়মিত টহল চলে। কমলগঞ্জ থানা, শমমেরনগর চা-বাগান ও চাতলাপুর চা-বাগানে তারা শক্তিশালী ক্যাম্প স্থাপন করে। এছাড়া কমলগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় পাকবাহিনী ও রাজাকার-দের ক্যাম্প ছিল।
শমশেরনগর ইউনিয়নের শঙ্করপুর গ্রামের আরিফ মুন্সীর নেতৃত্বে স্থানীয় মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের উদ্যোগে কমলগঞ্জে পাকবাহিনীর সহযোগী শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী গঠিত হয়। এ উপজেলায় স্বাধীনতাবিরোধী অন্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মুজিবুর রহমান কমরু মিয়া, কাদির মাস্টার, সিদ্দেক আলী, ছাদ আলী, আব্দুর রাজ্জাক বশির, তুততি মেম্বার ও রহমান হাজী, শমশেরনগরের আরিফ মুন্সী, ফাত্তাহ মিয়া (সেনাসদস্য), বাসুদেবপুরের খাতির মিয়া, সিদ্ধেশ্বরপুরের সিদ্দিকুর রহমান, আলাই মিয়া, বড়চেগের ফটিক মিয়া ও রহিম মেম্বার, লগনশালার মোস্তফা মিয়া, প্রতাপীর সাইদুর রহমান প্রমুখ। পাকবাহিনীকে সহায়তা দেয়ার জন্য রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরা রাতে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক-সেতু-কালভার্ট পাহারা দিত। এরা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সম্পর্কে পাকাবাহিনীকে তথ্য প্রদান করত এবং নিরীহ মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে এনে শমশেরনগরস্থ পাকিস্তানি ক্যাম্পে পাঠাত।
রাজাকার আরিফ মুন্সী, ফাত্তাহ মিয়া, খাতির মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান, আলাই মিয়া, ফটিক মিয়া, মোস্তফা মিয়া, সাইদুর রহমান, রহিম মেম্বার প্রমুখ পাকবাহিনীকে কমলগঞ্জে নিয়ে আসে। এদের সহায়তায় পাকবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নিরীহ লোকজনের বাড়িতে হামলা করে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণ চালাত। পাকবাহিনী ও রাজাকাররা কমলগঞ্জে অনেকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৩রা এপ্রিল কমলগঞ্জ উপজেলার দেওড়াছড়া চা-বাগানের ৭০ জন চা-শ্রমিককে কাজ দেয়ার কথা বলে বাসে মৌলভীবাজার নেয়ার সময় একটি খালের পাড়ে দাঁড় করে গুলি করে। দেওড়াছড়া গণহত্যা নামে পরিচিত এ হত্যাকাণ্ডে ৫৮ জন চা-শ্রমকি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়।
পাকবাহিনী ও রাজাকাররা রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট গ্রামে ১৪ই এপ্রিল হামলা চালায়। এ-সময় তারা গ্রামের অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় জানা গেছে। মৌলভীবাজার জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এ হত্যাকাণ্ড চৈত্রঘাট গণহত্যা নামে পরিচিত।
১৪ই এপ্রিল পাকবাহিনী রাজাকারদের সহায়তায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে ধরে এনে অনেক নিরীহ মানুষকে শমশেরনগরে হত্যা করে। শমশেরনগর গণহত্যা-য় কৃষনপুর গ্রামের নেতা গফুরের পিতা আব্দুল গনি, একই গ্রামের আব্দুস শুকুর ও আব্দুন নূর, ঘোষপুরের ছাত্র মবশ্বির আলী, প্রতাপ পাল, পীযূষ পাল, শমশেরনগরের হোসেন ডাক্তার, পতনউষারের আপ্তাব খান, আখতার খান-সহ নিহত ১৫ জনের নাম জানা গেলেও এখানে শতাধিক লোককে হত্যা করা হয়।
পাকবাহিনী তাদের দোসরদের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও নিরীহ লোকদের ধরে হত্যা, নারীনির্যাতন ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন করত। অনেককে শমশেরনগর পাকক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী বটগাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হয়। শমশেরনগর বিমান বন্দর বধ্যভূমির তিনটি কূপে বাঙালিদের হত্যা করে ফেলে দেয়া হতো।
কমলগঞ্জে অনেক নারী পাকবাহিনী ও রাজাকারদের দ্বারা নির্যাতিত হন। প্রভা রানী মালাকার- (স্বামী কামিনী রাম মালাকার)-এর ওপর রাজাকার ও পাকসেনাদের ধর্ষণ ও নির্যাতন একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। দুবার তিনি রাজাকার ও পাকসেনাদের দ্বারা ধর্ষিত হন। বিক্রম কলস গ্রাম থেকে রাজাকার নজির মিয়া ও জহুর মিয়া প্রথমে তাকে ধরে বাদল মাস্টারের বাড়ি নিয়ে যায়। রাতে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এখান থেকে মুক্তি পেয়ে প্রাভা রানী তার বোনের বাড়ি জাঙ্গাল হাটি গ্রামে আশ্রয় নেন। কিন্তু কিছুদিন পর রাজাকার ইন্তাজ, জহুর, রইছ, কাদির এখান থেকে তাকে ধরে শমশেরনগরস্থ পাকক্যাম্পে পাঠায়। পাকসেনাদের নির্মম ও পাশবিক নির্যাতনে তিনি জ্ঞান হারান। বর্তমানে তিনি দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। পাকবাহিনী শমশেরনগর ডাকবাংলোর একটি ঘরে নির্যাতন সেল গঠন করেছিল। এখানে আলাদা কোনো বন্দিশিবির না থাকলেও ডাকবাংলোর নির্যাতন কক্ষে নিয়মিত শারীরিক অত্যাচার করা হতো। শমশেরনগর বিমানবন্দরে একটি বধ্যভূমি রয়েছে। এছাড়া রহমপুর ইউনিয়নের দেওরাছড়া চা-বাগানের ২৫ নম্বর সেকশনে একটি গণকবর আছে। পশ্চিম কামুদপুর গ্রামে ভানুগাছ বাজার যুদ্ধে শহীদ ৪ জন মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে।
২৮শে অক্টোবর মাধবপুর ইউনিয়নের ধলই সীমান্ত ফাঁড়ি (বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমান ফাঁড়ি) এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ-যুদ্ধে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ হন। জীবনপণ লড়াই করে মুক্তিযোদ্ধারা ধলই দখল করতে সক্ষম হন। এ যুদ্ধের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, মুক্তিযোদ্ধারা কেবল গেরিলা যুদ্ধ নয়, সম্মুখ যুদ্ধেও সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দিতে সক্ষম। এ-যুদ্ধের পর বিদেশেও মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও দক্ষতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ধলই যুদ্ধ-এ বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমান ছাড়া আরো কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এবং অনেকে আহত হন।
শমশেরনগরে পাকবাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। এ ঘাঁটিতে আক্রমণ করে পাকসেনাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার পরিকল্পনা করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শামশেরনগর চা-বাগানে অপারেশন চালানো হয়। সেকেন্ড লে. আলী ওয়াকিউজ্জামান এ অপারেশনে নেতৃত্ব দেন। ২রা ডিসেম্বর শমশেরনগর চা-বাগান অপারেশন সংঘটিত হয়। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। এ অপারেশনের ফলে শমশেরনগর চা-বাগান ও পার্শ্ববর্তী এলাকা শত্রুমুক্ত হয়।
শমশেরনগর ও ভানুগাছ এলাকায় পাকবাহিনীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধারা একটি অপারেশনের পরিকল্পনা করেন। সেকেন্ড লে. আলী ওয়াকিউজ্জামানকে এ অপারেশন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী এক প্লাটুন সৈন্য নিয়ে তিনি রাতে শমশেরনগর- ভানুগাছ সড়কে অবস্থান নেন। শমশেরনগর-ভানুগাছ অপারেশন নামে পরিচিত এ-যুদ্ধে পাকবাহিনীর একজন মেজরসহ বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়। এ-যুদ্ধে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৪ সৈনিক শহীদ হন। শমশেরনগর ২রা ডিসেম্বর এবং কমলগঞ্জ সদর ৫ই ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয়।
কমলগঞ্জে যেসব মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, তাঁরা হলেন- আনুর আলী (২৮শে অক্টোবর কমলগঞ্জের ধলই সীমান্তে শহীদ), আব্দুল আজিজ (কৃষ্ণপুর; ২০শে ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে মাইন বিস্ফোরণে শহীদ), জিল্লুর রহমান, বীর প্রতীক- (ল্যান্স নায়েক, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট; গ্রাম দারোগা পাড়া, উপজেলা শাহজাতপুর, জেলা সিরাজগঞ্জ; ৫ই ডিসেম্বর শমশেরনগর ইউনিয়নের ভানুগাছ বাজারে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ), মো. মিজানুর রহমান (সিপাহি, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট; গ্রাম কালা পাইনা, মুরাদনগগর, কুমিল্লা; ৫ই ডিসেম্বর ভানুগাছ বাজারে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ), আব্দুর রশীদ (সিপাহি, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট; গ্রাম বর শালঘর, দেবীদার উপজেলা, কুমিল্লা; ৫ই ডিসেম্বর ভানুগাছ বাজারে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ) এবং মো. শাহাজহান মিয়া (সিপাহি, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট; গ্রাম মগাদিয়া, মিরেশ্বরাই, চট্টগ্রাম; ৫ই ডিসেম্বর ভানুগাছ বাজারে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ)।
মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে ২০১৩ সালে শমশেরনগর বিমানবন্দর এলাকায় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। শমশেরনগর বিমানবন্দর এলাকায় একটি বধ্যভূমি-স্মৃতিসৌধ ও রহিমপুর ইউনিয়নের দেওড়াছড়ায় আরেকটি বধ্যভূমি-স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে। পতনইসার ইউনিয়নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ওমর আলীর স্মরণে একটি ও শমশেরনগরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছিতের স্মরণে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোহাম্মদ ইলিয়াছের নামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আলীনগর ইউনিয়নের পশ্চিম কামুদপুর গ্রামে ভানুগাছ যুদ্ধে শহীদ ৪ জন মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে। ধলই সীমান্ত ফাঁড়ির নাম দেয়া হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমান সীমান্ত ফাঁড়ি’। এখানে হামিদুর রহমানের নামে একটি স্মৃতিসৌধ রয়েছে। [মুজিবুর রহমান রঞ্জু]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!