৭১-এ মানবতাবিরােধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ১৭ জুলাই ২০১৩ এ রায় ঘােষণা করা হয়। ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্যদের নিয়ে যে বাহিনী গঠিত হয় সেপ্টেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত আল-বদর বাহিনীর প্রধান ছিলাে মতিউর রহমান নিজামী এবং অক্টোবর ১৯৭১ থেকে সে বাহিনীর প্রধান হয় আলী আহসান মােহাম্মদ মুজাহিদ। ১৯৪৮ সালের ২ জানুয়ারি ফরিদপুরের কোতােয়ালি থানার পশ্চিম খাবাসপুর গ্রামে মুজাহিদের জন্ম। ১৯৬৪ সালে সে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হয়ে ইসলামী ছাত্রসংঘে (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন) যােগ দেয়। ১৯৭০ সালে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হয়। ওই বছর সে ঢাকা জেলা ছাত্রসংঘের সভাপতি এবং আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে তকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক হয়। একাত্তরের অক্টোবরে সে ছাত্রসংঘের প্রাদেশিক সভাপতি ও আল-বদর বাহিনীর প্রধান হয়। ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়লাভ করেনি।
মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযােগ, একাত্তরে ইত্তেফাক-এর তৎকালীন কার্যনির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হােসেনকে অপহরণ ও হত্যা । দ্বিতীয় অভিযােগ, ফরিদপুরের হিন্দু-অধ্যুষিত তিনটি গ্রাম বৈদ্যডাঙ্গি, মাঝিডাঙ্গি ও বালাডাঙ্গিতে হামলা ও অর্ধশতাধিক হিন্দুকে হত্যার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা। তৃতীয় ও চতুর্থ অভিযােগ, ফরিদপুরের রথখােলা গ্রামের রণজিৎ নাথ ও গােয়ালচামট খােদাবক্সপুর গ্রামের মাে, আবু ইউসুফকে নির্যাতন। পঞ্চম অভিযােগ, একাত্তরের ৩০ আগস্ট মতিউর রহমান নিজামীকে নিয়ে মুজাহিদ ঢাকার নাখালপাড়ার পুরােনাে এমপি হােস্টেলে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে যায় । সেখানে আটক সুরকার আলতাফ মাহমুদ, বদি, রুমি, জুয়েল, আজাদকে দেখে একজন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেনকে বলে, রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা ঘােষণার আগে। এঁদের মেরে ফেলতে হবে। ওই সিদ্ধান্ত অনুসারে মুজাহিদ সঙ্গীদের সহযােগিতায় তাদের অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করে। ষষ্ঠ অভিযােগ, মােহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (বর্তমানে শারীরিক শিক্ষা কলেজ) পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে মুজাহিদ দলীয় নেতাদের নিয়ে বাঙালি নিধনের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করে। সপ্তম অভিযােগে বলা হয়, একাত্তরের ১৩ মে পাকিস্তানি সেনা ও স্থানীয় রাজাকারদের নিয়ে মুজাহিদ ফরিদপুরের হিন্দু-অধ্যুষিত বাকচর গ্রামে হামলা চালায়। সেখানে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযােগ ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আদালত আরও বলেন, ২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর একটি দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হওয়া কান্ট্রি কুড নট কেয়ারলেস’ শীর্ষক প্রতিবেদন খুঁটিয়ে পড়লে দেখা যায়, যে সশস্ত্র দলটি সিরাজুদ্দীন হােসেনকে অপহরণ করেছিল তার নেতৃত্বে ছিলাে মুজাহিদ। নেতৃত্বে থাকা মানে সবসময় এটা দেখানাের দরকার নেই যে ঘটনাস্থলে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। যে ব্যক্তি কর্তৃত্ববাদী অবস্থানে থাকে, তার নির্দেশনা, আদেশ, উসকানি বা প্ররােচনাও নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্যে পড়ে। ষষ্ঠ অভিযােগের মূল্যায়নে বলা হয়, আল-বদর বাহিনীর নীতিনির্ধারণী অংশে মুজাহিদের অবস্থান ও আল-বদরের কার্যক্রমের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টত সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মুজাহিদ নিয়মিত মােহাম্মদপুরের শারীরিক শিক্ষা কলেজে আলবদরের ক্যাম্পে যেতে। বিশেষত একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ওই আল-বদর ক্যাম্পে চরম হতাশা ও কষ্ট নিয়ে
অপরাধ-৫ তৎকালীন পিরােজপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাঈফ মিজানুর রহমান। সর্বদলীয় সগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। সাঈদী ও তার সহযােগী শান্তিকমিটির সদস্য মান্নাফ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনাসদস্যকে নিয়ে ৫মে পিরােজপুর হাসপাতাল থেকে তাকে ধরে বলেশ্বর নদের তীরে নিয়ে যায়। একই দিনে পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ (লেখক হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের বাবা) এবং ভারপ্রাপ্ত এসডিও আবদুর রাজ্জাককেও কর্মস্থল থেকে ধরা হয়। সাঈদীর উপস্থিতিতে এ তিন সরকারি কর্মকর্তাতে গুলি করে লাশ বলেশ্বর নদে ফেলে দেওয়া হয়।
অপরাধ-৬ ৭মে সাঈদীর নেতৃত্বে শান্তিকমিটির একটি দল পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে পারেরহাট বাজারের আওয়ামী লীগ, হিন্দু সম্প্রদায় এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের বাড়িঘর ও দোকান চিনিয়ে দেয়। এসব দোকান ও বাড়িতে লুটপাট করা হয়। এ সময় তারা মাখন লাল সাহার দোকান থেকে ২২ সের স্বর্ণ ও রূপা লুট করে।
অপরাধ-৭ ৮ মে বেলা দেড়টার দিকে সাঈদী পাকিস্তানি সেনাদের নেতৃত্ব দিয়ে বাদুরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খানকে আওয়ামী লীগার ও শহীদুল ইসলামকে মুক্তিযােদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করে এবং পাকিস্তানি সেনাদের হাতে সােপর্দ করে। পরে তাদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ।
অপরাধ-৮ ৮মে বেলা তিনটার দিকে সাঈদী ও তার দলের সদস্যরা চিথােলিয়া গ্রামের মানিক পসারির গ্রাম লুট করে। এখানে পাঁচটি ঘরে কেরােসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মানিক পসারির ভাই মফিজুদ্দিন ও ইব্রাহিম কুট্টিকে ধরে সেনা ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় সাঈদীর প্ররােচনায় পাকিস্তানি সেনারা ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করে। মফিজকে সেনাক্যাম্পে নির্যাতন করা হয়।
অপরাধ-৯ ২জুন সকাল নয়টার দিকে সাঈদী ও তার সশস্ত্র সহযােগীরা ইন্দুরকানি পুলিশ স্টেশনের নলবুনিয়া গ্রামের আবদুল হালিম বাবুলের বাড়িতে লুটপাট করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
অপরাধ-১০ ২জুন সকাল ১০টার দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে সশস্ত্র দল উমেদপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ার ২৫টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাঈদীর ইন্ধনে বিসা বালী নামের একজনকে নারকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়।
অপরাধ-১১ ২জুন সাঈদী টেংরাখালী গ্রামের মুক্তিযােদ্ধা মাহবুবুল আলম হাওলাদারে বাড়িতে পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে যান। সেখানে তার বড় ভাই আবদুল মজিদ হাওলাদারকে ধরে নির্যাতন করা হয়। এরপর সাঈদী নগদ টাকা। লুট ও মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান। পরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ।
অপরাধ-১২ সাঈদীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র দল পারেরহাট বাজারের ১৪ জন হিন্দুকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে নিয়ে যায়। পরে তাদের গুলি করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। অপরাধ-১৩ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার দুই-তিন মাস পর সাঈদীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা নলবুনিয়া গ্রামের আজহার আলীর বাড়িতে যায়। সেখানে আজহার আলী ও তার ছেলে সাহেব আলীকে ধরে নির্যাতন করা হয়। সাহেব আলীকে পিরােজপুরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। অপরাধ-১৪ মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি রাজাকার বাহিনী হােগলাবুনিয়ার হিন্দুপাড়ায় যায়। রাজাকারদের আগমন দেখে গ্রামের অধিকাংশ হিন্দু নারী পালিয়ে যান। কিন্তু মধুসূদন ঘরামীর স্ত্রী শেফালী ঘরামী ঘর থেকে বের হতে পারেননি। তখন সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকারেরা তাকে | ধর্ষণ করে। এর ফলে স্বাধীনতার পর তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এ নিয়ে গ্রামে বিভিন্ন কথা ওঠায় শেফালী ঘরামী দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য। হন। পরে এই হিন্দুপাড়ার ঘরে আগুন দেওয়া হয়। অপরাধ-১৫ মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের রাজাকার দল হােগলাবুনিয়া গ্রামের ১০জন হিন্দু নাগরিককে ধরে। পাকিস্তানি সেনারা তাদের সবাইকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।
অপরাধ-১৬ সাঈদীর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের রাজাকার দল পারেরহাট বন্দরের গৌরাঙ্গ সাহার বাড়ি থেকে তার তিন বােন মহামায়া, অন্ন রানী ও কমলা রানীকে ধরে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অপরাধ-১৭: সাঈদী ও তার নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা পারেরহাটের বিপদ সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে তার বাড়িতে আটকে নিয়মিত ধর্ষণ করে। একসময় ভানু সাহা দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।
এ অভিযােগের মূল্যায়নে ট্রাইব্যুনাল বলেন, সেনাক্যাম্পে মুজাহিদের নিছক উপস্থিতি প্রমাণ করে না যে সে অপরাধে সহযােগিতা বা নির্দেশনা দিয়েছিলাে। তবে ক্যাম্পে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা এটা প্রমাণ করে যে ওই কর্মকর্তাদের ওপর আসামির কর্তৃত্ব রয়েছে। ক্যাম্পে রণজিৎকে দেখে মুজাহিদ বলে, ‘ইসকো হটাও’। এটা কোনাে নির্দোষ উচ্চারণ নয়, বরং এ উচ্চারণ আদেশ বা নির্দেশনা বােঝায়। যদি এটা নির্দোষ উচ্চারণ হতাে, তবে রণজিৎকে সেনাক্যাম্প থেকে ছেড়ে দেওয়া হতাে। বরং এ কথা উচ্চারণের পর তাঁকে নিয়ে অন্য একটি স্থানে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের সপ্তম সাক্ষী ও ঘটনার শিকার রণজিৎ নাথ নিজে ওই ঘটনার সাক্ষ্য দিয়েছেন, রাষ্ট্রপক্ষের অষ্টম। সাক্ষী মীর লুৎফর রহমান ওই সাক্ষ্য সমর্থন করেছেন। রণজিৎকে আটকে রাখার ওই ঘটনা মানবতাবিরােধী অপরাধ হিসেবে আটকে রেখে নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে।
দোষী সাব্যস্তকরণ ও শাস্তি
ট্রাইব্যুনাল বলেন, প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ, দালিলিক নথি ও যুক্তির ভিত্তিতে আসামির বিরুদ্ধে গঠন করা সাতটি অভিযােগের মধ্যে পাঁচটি রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, এ ক্ষেত্রে আদালত সম্পূর্ণভাবে সংঘটিত অপরাধের আইনগত প্রকৃতি, অপরাধের মাত্রা, আসামির ভূমিকা ও অবস্থান এবং ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের বেদনার মাত্রা বিবেচনা করা হয়েছে। আবার যে অপরাধে শাস্তি দেওয়া। হবে, সেই অপরাধের গভীরতা ও এতে আসামির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পঞ্চম। অভিযােগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেওয়া হলে তবে মানবসভ্যতার বিবেককে বিমূঢ় করা বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মতাে নারকীয় ঘটনা এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য করে চালানাে হত্যাকাণ্ড ও দেশান্তরের মতাে গর্হিত অপরাধে আসামির সর্বোচ্চ সাজা প্রাপ্য। এ জন্য ষষ্ঠ ও সপ্তম অভিযােগে আলী আহসান মােহাম্মদ মুজাহিদকে ফাসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হলাে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযােগে করা একটি মামলায় মুজাহিদকে ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। ঐ বছরের ২ আগস্ট তাকে। মানবতাবিরােধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানাে হয়। ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযােগ দাখিল করে। ট্রাইব্যুনাল অভিযােগ ফেরত দিয়ে সুবিন্যস্ত করে পুনর্দাখিলের আদেশ দিলে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি তা পুনর্দাখিল করা হয় । ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযােগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ২৫ এপ্রিল এই মামলা ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২এ স্থানান্তর করা হয়। এ ট্রাইব্যুনালে নতুন করে অভিযােগের শুনানি হয়। ২১ জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযােগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল-২। মামলা তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষে ১৭ জন সাক্ষ্য দেন, আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দেন। মুজাহিদের ছেলে আলী আহমদ মাবরুব। ৭ মে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়ে ৫ জুন শেষ হয়। ওই দিন মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষাধীন রাখেন ট্রাইব্যুনাল। অবশেষে ১৭ জুলাই ২০১৩ মামলার রায় ঘােষণা করা হয়।
সূত্র : ফিরে-দেখা-৭১-যুদ্ধাপরাধীদের-বিচার-সুজন-হালদার