কক্সবাজার ৬নং জেটি নতুন বাহারছড়া মসজিদ সংলগ্ন গণহত্যা
কক্সবাজার ৬নং জেটি নতুন বাহারছড়া মসজিদ সংলগ্ন গণহত্যা (কক্সবাজার সদর) সংঘটিত হয় মে মাসে। এতে ৪ জন ইপিআর বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মসজিদ সংলগ্ন স্থানে গণকবরে তাঁদের সমাহিত করা হয়।
কক্সবাজারে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বে যে ৪ জন জওয়ান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, তাঁরা হলেন- ইপিআরের সিগন্যালের নায়েক জোনাব আলী, নায়েক সুবেদার আবদুল লতিফ, সিগন্যালম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম ও সিপাহি মেছের আহমেদ। মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে নায়েক জোনাব আলীর ভূমিকা ছিল বীরোচিত। চট্টগ্রাম ইপিআর সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স থেকে ইপিআর-এর বাঙালি অফিসার ক্যাপ্টেন (পরবর্তীতে মেজর) রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তাটি ২৬শে মার্চ রাতেই কক্সবাজার পৌঁছে। জোনাব আলী দ্রুত বার্তাটি স্থানীয় লীগ সহ মুক্তিকামী মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। উল্লিখিত ৪ জন বীর বাঙালি ইপিআর সদস্য ক্যাম্পের (বর্তমান স্কাউট ভবন) ১১ জন অবাঙালি ইপিআর সদস্যকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেন এবং তাদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিতরণ করেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মে মাসে কক্সবাজার দখল করলে জোনাব আলী ও তাঁর সহযোদ্ধারা কতিপয় দালালের ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। হানাদাররা এ ৪ বীর বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাকে শহরের নুনিয়াছড়াস্থ বাঁকখালী নদীর তীরে নিয়ে ব্রাশফায়ার করে। সঙ্গে-সঙ্গে তাঁরা সকলে শহীদ হন। তাঁদের কক্সবাজার ৬নং জেটি সংলগ্ন নতুন বাহারছড়া মসজিদের পাশে গণকবর দেয়া হয়। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড