You dont have javascript enabled! Please enable it! বীর উত্তম এইচ এম আব্দুল গাফফার - সংগ্রামের নোটবুক

বীর উত্তম এইচ এম আব্দুল গাফফার

এইচ এম আব্দুল গাফফার, বীর উত্তম (জন্ম ১৯৪৩) বীর মুক্তিযােদ্ধা, সাবসেক্টর কমান্ডার এবং ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক। তিনি ১৯৪৩ সনের ২১শে মার্চ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার গুটুদিয়া গ্রামে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের স্থায়ী নিবাস ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে। তাঁর পিতার নাম মােহম্মদ কায়কোবাদ, মাতার নাম রহিমা খাতুন। তিনি বর্তমানে ঢাকার ওয়ালসাে টাওয়ারে বসবাস করছেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি পারিবারিক প্রভাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাঙালি সংস্কৃতি ও সাহিত্যের অনুরাগী ছিলেন। তিনি স্থানীয় ডুমুরিয়া হাইস্কুলে প্রাথমিক পড়াশুনা করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি গুটিদিয়া হাইস্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিক এবং ১৯৬১ সালে দৌলতপুর বিএল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। একই কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে তিনি বিএ পাস করেন। এরপর ঢাকার মােহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে বিপিএড ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি কাকুল পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে জেন্টলম্যান ক্যাডেট হিসেবে যােগদান করেন। এক বছর প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৬৮ সালে তিনি কমিশনপ্রাপ্ত হন। এরপর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে পূর্ব পাকিস্তানের জয়দেবপুরে বেবি টাইগার খ্যাত ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গলে যােগদান করেন। ৬ মাস চাকরি শেষে তিনি লেফটেন্যান্ট পদে উন্নীত হন। একই বছর ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে লাহােরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ১৯৭০ সালের জুন মাসে এ রেজিমেন্টকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে পােস্টিং দেয়া হয়। তখন প্রমােশন পেয়ে আব্দুল গাফফারের র্যাংক হয় ক্যাপ্টেন। এখানে ফিরে আসার পর তাঁকে কোয়ার্টার মাস্টারের দায়িত্ব দেয়া হয়। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থানকালে তিনি দেশের রাজনীতির ওপর তীক্ষ দৃষ্টি রাখছিলেন। তাঁর চোখের সামনেই ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-এর নিরঙ্কুশ বিজয়, ইয়াহিয়া সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ, প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধুর অসহযােগ আন্দোলন আহ্বান, ৭ই মার্চ বাঙালিদের উদ্দেশে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ ইত্যাদি তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে। তিনি মনেমনে মুক্তিযুদ্ধে যােগদানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গতিবিধি ও তাদের গােপন অস্বাভাবিক তৎপরতা তার নজরে আসে। পাকিস্তানি সেনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মেজর খালেদ মােশাররফ, বীর উত্তমকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিলেটের শমশেরনগরে প্রেরণের প্রাক্কালে খালেদ মােশাররফের নির্দেশক্রমেই তিনি কিছু অতিরিক্ত ভারী অস্ত্র ও গােলাবারুদ তাঁর সঙ্গে দিয়ে দেন। অনুরূপভাবে মেজর শাফায়াত জামিল, বীর উত্তমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হলে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের এডজুট্যান্ট হিসেবে কোয়ার্টার মাস্টারের সহায়তায় তিনি রেশনের গম ও চালের বস্তার মধ্যে লুকিয়ে বেশকিছু অস্ত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করেন। মার্চের ২ তারিখ থেকে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাঙালি ও পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের অনুরূপ একটি পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। গােপনে গাফফার তাঁর সেনাসদস্যদের অস্ত্র ইস্যু করেন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাদের তার লাইন অব ফায়ার’-এর আওতায় রাখেন। সমূহ বিপদের আশঙ্কা করে পশ্চিম পাকিস্তানি কমান্ডিং অফিসার কর্নেল খিজির হায়াত খানকে বুঝিয়ে তিনি একদল সেনাসদস্য নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে আসেন। এদিকে ২৫-২৬শে মার্চ পাকহানাদাররা কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টমেন্টে ২১ জন বাঙালি অফিসারকে রুমের ভেতরে জড়াে করে মেশিনগানের গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে (দ্রষ্টব্য ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট গণকবর)। ২৭শে মার্চ আকস্মিকভাবে মেজর শাফায়াত জামিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সফররত কমান্ডিং অফিসার কর্নেল খিজির হায়াত খানকে সফরসঙ্গী অন্য অফিসারসহ বন্দি এবং সেখানকার পাকিস্তানি সেনাদের নিরস্ত্র ও অকার্যকর করে বিদ্রোহ ঘােষণা করেন। এ বিদ্রোহে ক্যাপ্টেন গাফফার বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। ২৭শে মার্চ মেজর খালেদ মােশাররফ বিদ্রোহী সেনাদলের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যােগ দেন। ৩১শে মার্চ মেজর কে এম সফিউল্লাহ, বীর উত্তম। তাঁর বিদ্রোহী সেনাদলকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছেন। প্রথমে বিদ্রোহের রণকৌশলগত অবস্থান হিসেবে গাফফারকে সিলেটের গােয়াইনঘাটের দায়িত্ব দেয়া হয়। খালেদ মােশাররফ তাঁর সমগ্র যুদ্ধ এলাকাকে ৬টি সাবসেক্টরে বিভক্ত করেন। দ্বিতীয় সাবসেক্টর মন্দাবাগের দায়িত্ব দেন ক্যাপ্টেন গাফফারের ওপর। তাঁর অধীনে ছিল চার্লি ও একটি মর্টার কোম্পানি। ২নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন গাফ্ফার ছিলেন এক অপ্রতিরােধ্য যােদ্ধা। সীমান্তবর্তী মন্দাবাগে তার বাহিনীর হেডকোয়ার্টার্স স্থাপন করা হয়। অসীম সাহসী গাফফার তার চার্লি কোম্পানি নিয়ে কসবা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক রেইড, এম্বুশ ও সম্মুখ যুদ্ধ পরিচালনা করেন। এসবের মধ্যে কালতাদীঘির পাড়ে এম্বুশ (১২ই এপ্রিল), গঙ্গাসাগর রেইড (১৫ই এপ্রিল), এপ্রিলের শেষ দিকে গঙ্গাসাগর-নিয়ামতাবাদে আক্রমণ, শালগড়| সিএন্ডবি রােড এম্বুশ (২৬শে এপ্রিল), মন্দাবাগ রেলওয়ে স্টেশন-সালদা নদী এম্বুশ (১৩ই মে), তালতলা আড়াইবাড়ি এম্বুশ, বেলােনিয়ার প্রথম যুদ্ধ (১৭-২১শে জুন), চিতলিয়ার যুদ্ধ (২২-২৩শে জুন), মন্দাবাগ রেলওয়ে স্টেশন যুদ্ধ (২৩শে জুন), লাটুমুড়া রেইড (২রা জুলাই), মন্দাবাগ বাজার শত্রুঘাঁটিতে রেইড (২৩শে আগস্ট), কালামুড়া সেতু ধ্বংস (২৫শে আগস্ট), পশ্চিম কসবায় টি আলীর বাড়ির শত্রুরঘাটিতে অভিযান (২৮শে আগস্ট), রামগঞ্জ ঘাঁটি আক্রমণ (২০শে সেপ্টেম্বর), সালদা নদী কমপ্লেক্স দখল প্রথম যুদ্ধ ( ৩০শে সেপ্টেম্বর), সালদা নদী কমপ্লেক্স দখল দ্বিতীয় যুদ্ধ (১৩ই নভেম্বর) ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য। এর বহু স্থানে পুরাে সময় পাকহানাদার বাহিনীর পাল্টা দখলের অভিযান মুক্তিযােদ্ধাদের মােকাবেলা করতে হয়। জুলাই মাসে পাকসেনারা তাদের হাতছাড়া হওয়া সালনা নদী এলাকা দখলের জন্য তীব্র আক্রমণ চালায়। শত্রুসেনারা ৫০ গজের মধ্যে পৌছলে আব্দুল গাফফার তার বাহিনী নিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। আক্রমণে পাকাসেনারা বিপর্যস্ত হয় এবং সেখানে তাদের অনেক সৈন্য নিহত হয়। ৬ই জুলাই ক্যাপ্টেন গাফফার এবং মেজর সালেক মুজিব ব্যাটারির (মুক্তিযােদ্ধাদের প্রথম গােলন্দাজ ব্যাটারি) সহায়তায় শত্রুর একটি বড় আক্রমণ প্রতিহত করেন। ২৩শে আগস্ট রাতে মন্দাবাগ বাজারে আক্রমণ চালিয়ে ২৫ জন পাকসেনাকে হতাহত করেন। ক্যাপ্টেন গাফ্ফার প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করায় পাকসেনারা মন্দাবাগ সদর, লক্ষ্মীপুর, সাইততলা এলাকা ত্যাগ করে চাদুলা, পানছড়া, সেনেরহাট এলাকায় তাদের ঘাঁটি পিছিয়ে নেয়। আব্দুল গাফফারের নেতৃত্বে সালদা নদী কমপ্লেক্স দখলের দ্বিতীয় যুদ্ধটি (১৩ই নভেম্বর) ছিল খুবই ভয়াবহ। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা যুদ্ধ শেষে এখানে পাকহানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি মুক্তিযােদ্ধাদের আক্রমণে ধ্বংস হয় এবং এলাকাটি সম্পূর্ণ মুক্তিযােদ্ধাদের দখলে চলে আসে। মুক্তিযুদ্ধকালে ক্যাপ্টেন গাফফারের সবচেয়ে বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ ছিল এটি। এজন্য প্রধান সেনাপতি ওসমানীর দপ্তর থেকে তাঁকে একটি সম্মাননা পত্র দেয়া হয়। বেলােনিয়ায় পাকসেনাদের শক্ত উপস্থিতি থাকায় মেজর খালেদ মােশাররফ ক্যাপ্টেন গাফফারকে তার বাহিনী নিয়ে ক্যাপ্টেন জাফর ইমামকে সাহায্যার্থে পাঠান। ‘কে’ ফোর্স গঠনের জন্য বাহিনীসমূহ পুনর্বিন্যাসকালে ক্যাপ্টেন গাফফারের সঙ্গে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের চার্লি কোম্পানি এবং হেডকোয়ার্টার্স-এর কিছু সেনা রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যুদ্ধের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ক্যাপ্টেন গাফ্ফার প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতা ও সাহসের সঙ্গে লড়াই করেন। বেলােনিয়া শত্রুমুক্ত হওয়ার পর তাঁকে ফেনী শত্রুমুক্ত করার লক্ষ্যে সেখানে পাঠানাে হয় এবং ৬ই ডিসেম্বর ফেনীর পতন ঘটে। অতঃপর কে-ফোর্সের অংশ হিসেবে ক্যাপ্টেন গাফফার শুভব্রিজ হয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে এগিয়ে যান। ১৭ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম ক্লাব মাঠে পাকসেনাদের আত্মসমর্পণ করার পূর্বেই তিনি যুদ্ধরত অবস্থায় চট্টগ্রামের নাজিরহাট মুক্ত করে হাটহাজারী পর্যন্ত পৌছে যান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ঘাঁটি স্থাপন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব ও সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ক্যাপ্টেন এইচ এম আব্দুল গাফফারকে ‘বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়।
স্বাধীনতার পর প্রথমে তাকে জয়দেবপুর ক্যান্টমেন্ট এবং সেখান থেকে ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে ঢাকা ক্যান্টমেন্টে ৪৬তম পদাতিক ব্রিগেডে পােস্টিং দেয়া হয়। সরকারের নির্দেশে বিহারি অধ্যুষিত ঢাকার মিরপুর এবং সেখানে অবস্থান নেয়া সশস্ত্র পাকিস্তানি হানাদারদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে তার বাহিনী নিয়ে ক্যাপ্টেন গাফফার সে কাজে নিজেকে নিয়ােজিত করেন। ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকার ৪৬তম পদাতিক ব্রিগেডে ব্রিগেড মেজর পদে উন্নীত হন। ১৯৭৪ সালে তিনি সামরিক বিদ্যায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভে ইংল্যান্ড ও পশ্চিম জার্মানিতে যান। ১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম হত্যা এবং একই বছর ৩রা নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ৪ জাতীয় নেতার হত্যাকাণ্ড তাঁকে ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করে। ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ২২তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম কমান্ডিং অফিসার হিসেবে তিনি নিয়ােগ লাভ করেন এবং একই সঙ্গে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পান। সেনাবাহিনীর ভেতর চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠায় ঢাকা ৪৬তম পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার খালেদ মােশাররফ উদ্যোগ গ্রহণ করলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল গাফফার তার সঙ্গে যােগ দেন। কিন্তু খালেদ মােশাররফের উদ্যোগ ব্যর্থ ও কাউন্টার অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হবার পর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল গাফফারকে কোর্ট মার্শালের সম্মুখীন হতে হয়। এরপর তাঁকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। ১৯৮৬ সালে তিনি রাজনীতিতে যােগ দেন এবং হােসাইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এরশাদ সরকারের প্রথমে উপমন্ত্রী, পরে প্রতিমন্ত্রী এবং আরাে পরে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবন যাপন করছেন। তাঁর স্ত্রীর নাম হােসনে আরা বেগম। এ দম্পতির ২ কন্যা ও ২ পুত্র। সন্তান রয়েছে। [হারুন-অর-রশিদ]
তথ্যসূত্র: এইচ এম আব্দুল গাফফার, বীর উত্তম, স্মৃতিময় মুক্তিযুদ্ধ ও আমার সামরিক জীবন, ঢাকা, প্রথমা ২০১৬।

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড