You dont have javascript enabled! Please enable it!

ইসলামপুরের বীরাঙ্গনা

ইসলামপুরের বীরাঙ্গনা (ইসলামপুর, জামালপুর) মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামপুর উপজেলা ছিল ১১নং সেক্টরের অধীন। এখানকার একদল তরুণ-তরুণী স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। অন্যদিকে কিছু সংখ্যক লােক রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীতে যােগ দিয়ে পাকসেনাদের দোসর হিসেবে মুক্তিযােদ্ধা ও তাঁদের পরিবার, মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লােকজন ও তাদের বাড়িঘরে হত্যা, অগ্নিসংযােগ ও লুণ্ঠন চালায়। হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে কয়েক লক্ষ মা-বােন নির্যাতিত হন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের এই মহান ত্যাগের স্বীকৃতি দেন এবং বীরাঙ্গনা হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের সম্মানিত করেন। ইসলামপুর উপজেলায় এরূপ ৭ জন বীরাঙ্গনার সন্ধান পাওয়া গেছে। নির্যাতিতা এসব নারীরা হলেনমােছা. ছখিনা খাতুন (স্বামী মাে. বাদশা মিয়া, পলবান্ধা, গেজেট নং-৭৩), মােছা. রংমালা খাতুন (স্বামী মাে. ভােলা শেখ, সিলের চর, গেজেট নং-১৮১), মােছা. রাবেয়া বেগ (মাে. জসিজল, কুলকান্দি, গেজেট নং-১৮২), মােছা. সামছুন্নাহার (স্বামী মাে. মাহফুজুল হক, চিনারচর, গেজেট নং-১৮৩), মােছা. ছকিনা বেগম (স্বামী আব্দুল সামাদ খান, কুলকান্দি, গেজেট নং-১৮৪), মােছা. শেফালী বেগম (স্বামী আ. রফিক, কুলকান্দি, গেজেট নং-১৮৫) এবং মােছা. ছায়েবানী জামাল (স্বামী মাে. জামাল উদ্দিন, কুলকান্দি)। [ভােলা দেবনাথ]
তথ্যসূত্র: ঢাকা টাইমস, তারিখ ০৭/০৮/২০১৭, ডেইলি স্টার, তারিখ ০৯/০৭/২০১৭, আর টিভি অনলাইন, তারিখ ১৬/১২/২০১৭ ও দৈনিক সমকাল, তারিখ ১৪/৯/১৭

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!