You dont have javascript enabled! Please enable it!

আলীপুরা যুদ্ধ

আলীপুরা যুদ্ধ (গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ) সংঘটিত হয় ১৫ই সেপ্টেম্বর। এতে ৩ জন ইপকাফ (ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্স) সদস্য ও ৩ জন রাজাকার নিহত এবং ৪ জন বাঙালি ইপকাফ সদস্য আহত হয়। বাকিরা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। মুক্তিযােদ্ধারা ঘটনাস্থল থেকে ৫টি রাইফেল ও ১৫০টি গুলি উদ্ধার করেন।
গজারিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে চলে যাওয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক একটি রণকৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সামরিক ভাষায় এ সড়ককে বলা হতাে এমএসআর অথবা মেইন সাপ্লাই রুট। এ পথ দিয়েই পাকবাহিনীর সমস্ত রসদ দেশের ভেতরে প্রবেশ করত। ফলে এ পথটিকে তারা সর্বোচ্চ নিরাপদ রাখতে চাইত। রাতের বেলা পাকবাহিনীর দোসর শান্তি কমিটির লােকজন ও রাজাকাররা মিলে মহাসড়ক পাহারা দিত। পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা যেন নির্বিঘ্নে চলাফেরা না করতে পারে, সেজন্য মুক্তিযােদ্ধারা সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তাদের ব্যতিব্যস্ত করে রাখতেন।
১৫ই সেপ্টেম্বর ভােরবেলা ভাটেরচর ক্যাম্প থেকে ১০-১২ জন ইপকাফ সদস্য মার্চ করে আলীপুরার দিকে আসতে থাকে। এদিকে থানা কমান্ডার মাে. রফিকুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান চৌধুরী, তফাজ্জল হােসেন, হুমায়ুন কবির মিন্টু, রমজান, শের আলীসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযােদ্ধা দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে আলীপুরা গ্রামের কাছে সড়কের দুপাশে এম্বুশ করেন। রেঞ্জের মধ্যে আসতেই মুক্তিযােদ্ধারা পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের দুদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। মুক্তিযােদ্ধাদের গুলিতে ৩ জন ইপকাফ সদস্য ও ৩ জন রাজাকার নিহত হয়। আহত হয় ৪ বাঙালি ইপকাফ সদস্য। বাকিরা অস্ত্র ফেলে দৌড়ে পালায়। মুক্তিযােদ্ধারা ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি রাইফেল ও ১৫০টি গুলি উদ্ধার করেন। [সাহাদাত পারভেজ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!