You dont have javascript enabled! Please enable it!

আলী মুন্সীর বাড়ি অপারেশন

আলী মুন্সীর বাড়ি অপারেশন (নড়িয়া, শরীয়তপুর) পরিচালিত হয় ২৩শে জুন। এতে পাকবাহিনীর ৩ দোসর নিহত হয়।
নড়িয়ায় পাকিস্তানি বাহিনীর অন্যতম দোসর ছিল শান্তি কমিটির সদস্যরা। এপ্রিল মাস থেকে জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এলাকায় তাদের খুব দাপট ছিল। শান্তি কমিটির সভাপতি ছিল আলী মুন্সী। তার নেতৃত্বে শান্তি কমিটি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী আতঙ্কিত ও ভীত-সন্ত্রস্ত থাকত। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় মুক্তিযােদ্ধারা অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। ইতােমধ্যে ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে কিছু মুক্তিযােদ্ধা এলাকায় ফিরে আসেন। আলী মুন্সীর বাড়ি আক্রমণ ও নড়িয়ার ওয়ারলেস সেট উদ্ধার করে নড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করার উদ্দেশ্যে ২২শে জুন নাড়িয়া থানার পশ্চিম পার্শ্বে পাটক্ষেতে বসে স্টুয়ার্ড মুজিব, ইউনুস আলী মিতালী, মেডিকেল কলেজের ছাত্র কাঞ্চন, এস এম কামালউদ্দিন মন্টু ও রওশন আলীসহ কয়েকজন মুক্তিযােদ্ধা এক গােপন বৈঠকে বসে অপারেশনের পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী তারা ২৩শে জুন সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পরে কাঞ্চনের নেতৃত্বে আবদুস সাত্তার খান, কবির, সবেদ আলী প্রমুখ পাকবাহিনীর দোসর আলী মুন্সীর বাড়ি এবং জেমস্ বাবুলের নেতৃত্বে থানা থেকে দূরে স্থাপিত ওয়ারলেস সেট উদ্ধারের জন্য আক্রমণ করেন। আলী মুন্সীর বাড়িতে আলী মুন্সীসহ ৩ জন নিহত হয়। রাজাকার- জলিলসহ কয়েকজন দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওয়ারলেস সেটটি অক্ষত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, সেটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ অপারেশনের ফলে জুন মাস থেকে নড়িয়া অঞ্চলের জনসাধারণ ও মুক্তিযােদ্ধাদের মধ্যে প্রবল সাহস ও আস্থার সঞ্চার হয়। [আবদুর রব শিকদার]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!