বীর প্রতীক আলিমুল ইসলাম
আলিমুল ইসলাম, বীর প্রতীক (১৯৪১-২০১০) যুদ্ধাহত মুক্তিযােদ্ধা। তিনি ১৯৪১ সালে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল করিম হাওলাদার ও মাতার নাম আমেনা বেগম।
তাঁর স্ত্রীর নাম রাজিয়া বেগম। আলিমুল ইসলাম ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি রেজিমেন্টে ল্যান্স নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন। কর্মস্থল ছিল ঢাকা সেনানিবাস। ১৯৭১-এর জানুয়ারির মাঝামাঝি তিনি ছুটিতে ছিলেন। ছুটি শেষ হওয়ার পূর্বেই তিনি প্রতিরােধযুদ্ধে যােগ দেন এবং পরবর্তীতে ৯নং সেক্টরের টাকি সাব-সেক্টর এলাকায় যুদ্ধ করেন। অক্টোবরে বরিশাল জেলার ঝালকাঠি, নলছিটি ও রাজাপুর এলাকার মুক্তিযােদ্ধারা ভাণ্ডারিয়া থানা আক্রমণের পরিকল্পনা করলে আলিমুল ইসলাম মুক্তিযােদ্ধাদের একটি দলের নেতৃত্ব দেন। তবে নৌপথে থানাটি আক্রমণের যাত্রাপথে পাকিস্তানি সৈন্যদের একটি গানবােটের সঙ্গে মুক্তিযােদ্ধাদের গােলাগুলি হয়। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে মুক্তিযােদ্ধাদের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে পাকিস্তানিরা টিকতে না পেরে পিছু হটে। আলিমুল ইসলাম নিজে পাকিস্তানিদের ছােড়া শেলের স্প্রিন্টারের আঘাতে আহত হন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুক্তিযােদ্ধা আলিমুল ইসলাম-কে ‘বীর প্রতীক’ রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত করা হয়। তিনি ২০১০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। [এস এম মাহফুজুর রহমান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড