আরিচপুর গণহত্যা
আরিচপুর গণহত্যা (গাজীপুর সদর) সংঘটিত হয় ১৭ই এপ্রিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ নির্মম গণহত্যায় ৩০ জনের মতাে নিরীহ মানুষ শহীদ হন।
২৭শে মার্চ হানাদার বাহিনী প্রথমে টঙ্গী দখল করে টেলিফোন শিল্প সংস্থায় ঢাকা উত্তর জোনের হেডকোয়ার্টার্স স্থাপন করে। ক্যাম্প স্থাপনের পর অধিনায়ক মেজর আরিফের নেতৃত্বে হানাদার বাহিনী টঙ্গী, পূবাইল, বাের্ড বাজার, মরকুন প্রভৃতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণহত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযােগ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ই এপ্রিল এ ক্যাম্প থেকে বের হয়ে হানাদার সৈন্যরা আরিচপুরের ঘরে-ঘরে তল্লাশি চালায়। তারা এভাবে শতাধিক পুরুষ সদস্যকে ধরে এনে এক জায়গায় জড়াে করে। তাদের মধ্য থেকে বেছে-বেছে প্রায় ৩০ জনকে গুলি করে এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে হত্যা করে। অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। গণহত্যার পর স্থানীয়দের সহায়তায় শহীদদের লাশ বিসিক গণকবরে সমাহিত করা হয়। গণহত্যার শিকার সকলেই ছিল দূরদূরান্তের। ফলে সকল শহীদদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন- মাে. নিয়ত আলী, মাে. তালেব আলী, মাে. হাবিবুল্লাহ, মাে. আবদুল মান্নান ও আবদুস সালামের পিতা (আলের টেক)। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড