You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.11 | আলফাডাঙ্গা গণহত্যা (আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর) - সংগ্রামের নোটবুক

আলফাডাঙ্গা গণহত্যা

আলফাডাঙ্গা গণহত্যা (আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর) ১১ই মে সংঘটিত হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৭ জন মানুষ এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পাশবিক নির্যাতনের ফলে সেনা ক্যাম্পে ১ জন নারীর মৃত্যু ঘটে।
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার মালা গণহত্যার পরদিন ১১ই মে পাকিস্তানি সেনারা রাজাকার কমান্ডার নাসির মৌলভীর সহায়তায় আলফাডাঙ্গা থানার সন্নিকটস্থ মালােপাড়ায় হানা দেয়। তারা এ পাড়ায় বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৭ জন মৎস্যজীবীকে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ড আলফাডাঙ্গা গণহত্যা নামে পরিচিত।
মালােপাড়ার নিহতদের মধ্যে ১৫ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- চকমােহন বিশ্বাস (পিতা কেদারনাথ বিশ্বাস), মণীন্দ্রনাথ মালাে (পিতা কাঞ্জিরাম মালাে), পরেশ মালাে (পিতা গােপাল মালাে), লক্ষ্মী মালাে (পিতা দ্বারকানাথ মালাে), মহন্ত মালাে (পিতা পিয়ারী মালাে), নরেন্দ্র মালাে (পিতা উত্তমবর মালাে), কালিদাস মালাে (পিতা যােগিন্দীর মালাে), ঠাকুরদাস মালাে (পিতা যােগিন্দীর মালাে), উপেন্দ্রনাথ মালাে (পিতা মাধব মালাে), অনন্ত মালাে (পিতা দেবীবরণ মালাে), প্রমথনাথ কুণ্ডু (পিতা কেষ্ট কুণ্ডু), নারায়ণ চন্দ্র কুণ্ডু (পিতা পঞ্চানন কুণ্ডু), যােগেন্দ্রনাথ সাহা (পিতা বিশ্বনাথ সাহা), রণজিৎ কুণ্ডু (পিতা সুরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু) ও দেবপ্রসাদ কুণ্ডু (পিতা ক্ষীরদ কুণ্ডু)। পাকিস্তানি হানাদাররা লক্ষ্মী রানী মালােকে ধরে নিয়ে যায়। পাশবিক নির্যাতনের কারণে তিনি সেনাক্যাম্পে মারা যান। [আবু সাঈদ খান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড