আমজাখালী জেটি গণহত্যা
আমজাখালী জেটি গণহত্যা (কুতুবদিয়া, কক্সবাজার) ৬ই মে সংঘটিত হয়। এ গণহত্যায় ৭-৮ জন গ্রামবাসী শহীদ হন। বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা কয়েকটি গণহত্যা সংঘটিত করে। সেগুলাের মধ্যে উপজেলার দক্ষিণ জেলেপাড়া, বড়ঘােপ স্টিমারঘাট, ধুপারঘােনার আরেফ সিকদার পাড়া, মাতব্বর বাড়ি ও কৈয়ারবিল নাথপাড়া গণহত্যা উল্লেখযােগ্য।
নৌকা নিয়ে কুতুবদিয়া দ্বীপে যাওয়ার জন্য বড়ঘােপ ইউনিয়নের আমজাখালীতে একটি জেটি স্থাপন করা হয়। উক্ত জেটি ঘাটকেই হানাদার বাহিনী অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে। ৬ই মে তারা কক্সবাজার থেকে কুতুবদিয়া আমজাখালী জেটিতে এসে অবস্থান করে। মুক্তিযােদ্ধা নিরানন্দ নাথ (পিতা ষষ্ঠিচরণ নাথ) মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়িতে এসে ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করছিলেন। স্থানীয় রাজাকার বিহারি খােরশেদের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে পাকিস্তানি বাহিনী তার বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং তাকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় হানাদাররা ৭-৮ জন নিরীহ মানুষকে ধরে ক্যাম্পে এনে গুলি করে হত্যা করে। তারা কয়েকটি বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযােগ করে। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড