আমনুরা-রাজশাহী রেলপথ অপারেশন
আমনুরা-রাজশাহী রেলপথ অপারেশন (রাজশাহী সদর) পরিচালিত হয় ১১ই অক্টেবর। এতে যদিও পাকসেনাদের টহল ট্রেনের সামান্য ক্ষতি হয়, তবে তারা খুবই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী একটি স্পেশাল টহল ট্রেনযােগে প্রতিরাতে রাজশাহী-আমনুরা যাতায়াত করত। মুক্তিবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এ ট্রেনটি উড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী ১০ই অক্টোবর রাত ১২টার দিকে মাে. শাহাদৎ হােসেন রওশনের নেতৃত্বে একটি মুক্তিযােদ্ধা দল প্রয়ােজনীয় মাইনসহ সিতলাই স্টেশনের পূর্ব-দক্ষিণে (রাজশাহী কোর্ট স্টেশনের দিকে) একটি ফাঁকা জায়গায় রেললাইনের পাথর সরিয়ে রেল লাইনের নিচে পরপর ৪টি এন্টিট্যাঙ্ক মাইন পুঁতে রাখে। মাইনের বিস্ফোরণ ঘটানাের উদ্দেশ্যে পুলিং সুইচের সঙ্গে দড়ি বেঁধে রওশন ও সহযােদ্ধা হারুন দড়ি ধরে রেললাইন থেকে নিরাপদ দূরত্বে শুয়ে থাকেন। রাত ৩টার দিকে ট্রেন উক্তস্থান অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ইঞ্জিন মাইন বরাবর ওঠার সঙ্গে-সঙ্গে রওশন ও হারুন দড়িতে টান দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। সঙ্গেসঙ্গে মাইন বিস্ফোরিত হয়। কিন্তু বিস্ফোরণ শক্তিশালী না হওয়ায় ইঞ্জিন বা ট্রেনের তেমন কোনাে ক্ষতি হয়নি। তবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মনে ভীষণ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। [মাে. মাহবুবর রহমান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড