অনারারি ক্যাপ্টেন বীর বিক্রম আব্দুল হক
আব্দুল হক ভূঁইয়া, বীর বিক্রম (জন্ম ১৯৩৮) অনারারি ক্যাপ্টেন ও মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সৈনিক। তিনি ১৯৩৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত আখাউড়া উপজেলার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আপ্তাব উদ্দিন ভূঁইয়া এবং মাতার নাম আমেনা বেগম। তিনি স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।
আব্দুল হক ভূঁইয়া প্রথমে ভূমি জরিপ অফিসে এবং পরবর্তীতে মুজাহিদ বাহিনীতে অনারারি ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী এদেশের জনগণের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেন। তিনি প্রথমে ২ নম্বর সেক্টরে এবং পরবর্তীতে ‘কে’ ফোর্সের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া, গঙ্গাসাগর, সালদা নদী, ফেনী, নােয়াখালী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাকসেনা এবং রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেন। মন্দবাগের পাকসেসনা অবস্থান পরিবর্তনকালে তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযােদ্ধারা সিদল্লাই গ্রামে পাকবাহিনীর ওপর হামলা চালালে বহু পাকসেনা নিহত হয়। তার বাহিনী আগস্ট মাসের শেষদিকে এক কোম্পানি পাকসেনার ওপর এম্বুশ করে ৩০-৩৫ জনকে হতাহত করতে সক্ষম হয়। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয়।
আব্দুল হক ভূঁইয়া ৬ পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীর নাম মােসাম্মৎ হাসনা আরা বেগম। [হারুন রশীদ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড