You dont have javascript enabled! Please enable it! বীর প্রতীক আব্দুর রউফ শরীফ - সংগ্রামের নোটবুক

বীর প্রতীক আব্দুর রউফ শরীফ

আব্দুর রউফ শরীফ, বীর প্রতীক (১৯৩৭-১৯৯৩) বীর মুক্তিযােদ্ধা। তিনি ১৯৩৭ সালে গােপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার তাড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আলেম শরীফ এবং মাতার নাম মাজেদা বেগম। তিনি সাজাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৫৯ সালে ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল)-এ যােগদানের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৭১ সালে তিনি ঠাকুরগাঁও ইপিআর উইং সদরে হাবিলদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের হত্যা ও নির্যাতন শুরু করলে তিনি এর প্রতিবাদে বিদ্রোহ করেন এবং দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য ২৬শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেন। অকুতােভয় এ যােদ্ধা বিভিন্ন সময়ে নিজের জীবন বিপন্ন করেও সহযােদ্ধাদের জীবন রক্ষা করেন। সাহস ও দক্ষতার কারণে তিনি বহু পাকসেনাকে হতাহত করতে সক্ষম হন। অসীম মনােবলের অধীকারী আব্দুর রউফ দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে যুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখেন। তার এ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করে (গেজেট নং ৪৪৭, খেতাবের সনদ নং ১৯৭)। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস)-এ যােগদান করেন এবং ১৯৮৮ সালে হাবিলদার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালের এক রাতে নিজ বাড়িতে তিনি ডাকাতের আক্রমণে মারাত্মকভাবে আহত হন এবং ১৯৯৩ সালের ২৬শে ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম হামিদা বেগম। [জালাল আহমেদ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড