You dont have javascript enabled! Please enable it!

আফাজিয়া বাজার গণহত্যা

আফাজিয়া বাজার গণহত্যা (হাতিয়া, নােয়াখালী) সংঘটিত হয় ১২ই মে। এতে ৮ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
চরকিং ইউনিয়ন ও চরঈশ্বর ইউনিয়নের মাঝখানে আফাজিয়া বাজার অবস্থিত। ১১ই মে পাকসেনারা নৌপথে এসে হাতিয়া দ্বীপের উত্তর পাশে নামে এবং সেখান থেকে হাতিয়া শহরে এসে আদালত ভবনে ক্যাম্প করে। এরপর তারা শহরে লুটপাট করে এবং নদীপাড়ের বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে নারীধর্ষণ ও সেখানেও লুটপাট করে। তারা এডভােকেট দেলােয়ার হােসেন এমএনএ-র হাতিয়া শহরস্থ বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরদিন ১২ই মে সকালে তারা শহর থেকে প্রায় ১২ কিমি দক্ষিণে আফাজিয়া বাজারের উত্তর পাশে মুসলিম লীগ নেতা মাওলানা আবদুল হাই-এর বাড়িতে যায়। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করার পর মাওলানা আবুল হাই ও তার পুত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএসএফ নেতা আ ন ম বুলবুলকে নিয়ে আফাজিয়া বাজারে যায় এবং ৮ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। এ গণহত্যায় শহীদ হলেন- হাজী গােলাম রহমান সওদাগর (পিতা হামিদ আলী, ফজরন মাঝি গ্রাম, ১নং ওয়ার্ড, চরকিং), ফজলুল করিম (পিতা হাজী নজির আহাম্মদ, ফজরন মাঝি গ্রাম, চরকিং), আবু তাহের (পিতা মােহাম্মদ আলী, ফরাজী গ্রাম, চরকিং), আবুল কালাম (পিতা মুকবুল আহাম্মদ, ফরাজী গ্রাম, চরঈশ্বর), মােবাশ্বর আহাম্মদ, মনির উদ্দিন (পিতা ছালেহ উদ্দিন, বােয়ালিয়া, চরকিং), সুরেন্দ্র কুমার দাস এবং আবদুল মমিন (পিতা মহিউদ্দিন ওরফে আবু মিয়া)। [মাে. কেয়ায়েত উল্যাহ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!