আনন্দপুর গণহত্যা
আনন্দপুর গণহত্যা (বুড়িচং, কুমিল্লা) ২৮শে মে সংঘটিত হয়। এ গণহত্যায় ৯ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে ২৮শে মে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ করে ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেদিন হানাদারদের ভয়ে এ গ্রামের একটি বাড়িতে ১২ জন মানুষ আশ্রয় নেয়। পাকিস্তানি বাহিনীর বুলেট তাদের ১০ জনকে আঘাত করলে ৮ জন সঙ্গে-সঙ্গে নিহত হন। একজন পরে মারা যান। নিহতদের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় জানা যায়। তারা একই গ্রামের ছিলেন না। তাদের ৩ জনের নামই ছিল আলী আহাম্মদ অর্থাৎ অভিন্ন। অন্যরা হলেন- ফজর আলী, জসিমউদ্দিন (পিতা আবদুর রাজ্জাক), বেলায়েত নামের এক যুবক এবং নােয়াখালীর একজন কৃষক। গুরুতর আহত নাজিমুদ্দীন মুহুরীকে তার ছেলেরা ভারতে নিয়ে যায়। নাজমুদ্দিন মুহুরীর হাতে গুলি লাগে এবং হাত কেটে ফেলে দেয়ার পর তিনি বেঁচে যান। শহীদ ৯ জনের মধ্যে ৩ জনের লাশ গ্রামের জঙ্গলে একটি গর্তে মাটিচাপা দেয়া হয়। রাজাকারদের আনােগােনার কারণে বাকি ৬টি লাশ পড়ে থাকে। এ লাশগুলাে পঁচে-গলে শিয়াল-কুকুরের খাবারে পরিণত হয়। [তানভীর সালেহীন ইমন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড