আনন্দ পােদ্দার ভবন গণহত্যা
আনন্দ পােদ্দার ভবন গণহত্যা (নারায়ণগঞ্জ সদর) সংঘটিত হয় এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। পাকসেনারা স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এতে ১৬ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হন।
নারায়ণগঞ্জ সদরের বঙ্গবন্ধু সড়কের বাঁ-দিকে আর কে দাস। রােডের প্রথম বাড়িটিই ছিল আনন্দ পােদ্দার ভবন। এ ভবনের মালিক ছিলেন পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র পােদ্দার। তারা পুরুষানুক্রমে সােনারগাঁর পানামের জমিদার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের কয়েক বছর আগে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর তিন ছেলে সপরিবারে এ ভবনে বসবাস করতেন। ঘটনার দিন রাত দশটার দিকে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় ২৫-৩০ জন পাকসেনা পােদ্দার ভবনে প্রবেশ করে। তারা ভবনে ঢুকে নারায়ণ চন্দ্র পােদ্দারের তিন ছেলে সতীশ চন্দ্র পােদ্দার, জ্যোতি লাল পােদ্দার ও তাদের স্ত্রী, নিকট আত্মীয় যারা তাদের বাড়িতে
আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদের এবং ৫-৬ জন কর্মচারীসহ ১৬ জনকে ব্রাশ ফায়ার করে। তারা যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিল, তখন পাকসেনারা পুরাে ভবনে গান পাউডার ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠলে অর্ধমৃত মানুষগুলাে তাতে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। [রীতা ভৌমিক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড