আড়াইহাজার উপজেলা (নারায়ণগঞ্জ)
১৯৫২ সালের ভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু করে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনেই আড়াইহাজারবাসী সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালে পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে আড়াইহাজার থেকে যথাক্রমে শফর আলী মিয়া ও ডা. সাদত আলী সিকদার আওয়ামী লীগের মনােনীত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভােটে নির্বাচিত হন। এই জয়ের মধ্য দিয়ে রচিত হয় পাকিস্তানি শাসক ও শােষকদের হাত থেকে সমগ্র দেশবাসীর মতাে আড়াইহাজারের জনগণেরও মুক্তির প্রথম সােপান। কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করতে থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নির্দেশে আড়াইহাজারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ সংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকেন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শােনার জন্য আড়াইহাজার থানার ২-৩ হাজার ছাত্র, জনতা, শ্রমিক ও আওয়ামী লীগ কর্মী লাঠিহাতে ট্রেনে চড়ে সভাস্থলে সমবেত হয়। আড়াইহাজার উপজেলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাে. শফর আলী মিয়া এমএনএ ও ডা. সাদত আলী সিকদার এমপিএ-র নেতৃত্বে মরণজয়ী মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে থাকে।
ডা. সাদত আলী সিকদার এমপিএ এলাকার যুবকদের সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। তিনি নিজেও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ভারতের চাকুলিয়া প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে সিএনসি স্পেশাল প্রশিক্ষণ নেন। তিনি ২ নং সেক্টরের মেডিক্যাল সাব-কমিটির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং আগরতলায় ২৩টি ক্যাম্পের মেডিক্যাল টিমের দেখাশােনা করেন। আড়াইহাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল হাই ভূঁইয়া স্থানীয় যুবকদের সংগঠিত ও তাদের প্রত্যয়ন করে মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে পাঠান। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযােদ্ধাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ সার্বিক সহযােগিতা প্রদান করেন। মাে. শফর আলী মিয়া এমএনএ পূর্বাঞ্চলীয় জোন (আড়াইহাজার ও বৈদ্যের বাজার)-এর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। আড়াইহাজার উপজেলার তরুণ, যুবক, বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ এবং ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন-এর সদস্যরা ভারত থেকে মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণের জন্য মুক্তিযােদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তােলেন। অক্টোবর মাসে আড়াইহাজার থানা কমান্ডার আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে আড়াইহাজার পাইলট স্কুলে মুক্তিযােদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে ওঠে। মুজিব বাহিনীর গ্রুপ কমান্ডার শামসুল হক মােল্লা প্রশিক্ষক হিসেবে এলাকার যুবকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেন। তাঁকে সহযােগিতা করেন ফকির আক্তারুজ্জামান। তিনি সহকারী প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে ৩৬ জন স্থানীয় যুবককে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আড়াইহাজার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই ভুইয়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযােদ্ধাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাত্রিতে ঢাকার নিরীহ মানুষের ওপর পাকসেনাদের অতর্কিত আক্রমণ, পিলখানা ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আক্রমণ আড়াইহাজারের জনগণকে প্রচণ্ড বিক্ষুব্ধ করে। এর প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ নেতা শফর আলী মিয়া এমএনএ এবং ডা. সাদত আলী সিকদার এমপিএ-এর নেতৃত্বে এলাকার ছাত্র-যুবকদের নিয়ে গঠিত হয় সংগ্রাম পরিষদ। সংগ্রাম পরিষদের প্রধান কেন্দ্র স্থাপন করা হয় আড়াইহাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। আড়াইহাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মােশাররফ হােসেন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এবং ছাত্রলীগের মাে. শামসুল হক মােল্লা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পাকসেনাদের প্রতিরােধে তারা স্থানীয় জনগণকে প্রস্তুত করেন। আড়াইহাজার উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের থানা কমান্ডার ছিলেন মাসুদুর রহমান মাসুদ, শহীদুল্লাহ এবং আহসানউদ্দিন মােল্লা। ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন কাজী মাে. ওয়াজউদ্দীন।
মুজিব বাহিনীর থানা কমান্ডার ছিলেন ফয়েজ আহমদ, মাে. খলিলুর রহমান, মাে. শামসুল হক মােল্লা ও আব্দুস সামাদ। পাকসেনারা এপ্রিল মাসের মধ্যবর্তী সময়ে আড়াইহাজারে প্রবেশ করে এবং থানায় ক্যাম্প স্থাপন করে। নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে তারা আড়াইহাজার ডাকবাংলােতেও ক্যাম্প স্থাপন করে। পাকিস্তানি বাহিনীর সাহাযার্থে আড়াইহাজার উপজেলায় শান্তি কমিটি গঠিত হয়। এর সভাপতি ছিল পূর্ব আদি গ্রামের আকরামউদ্দীন ভূঁইয়া। তার নেতৃত্বে শম্ভুপুরার আলমগীর, মােহনপুর গ্রামের সােনামিয়া প্রমুখ শান্তি কমিটির হয়ে কাজ করে। এখানে রাজাকার বাহিনীও গঠিত হয়। এর সদস্য ছিল ফজলুল রহমান, আবদুর রহমান ভূঁইয়া, আলমগীর, রহম আলী, সামছুল, সাহেদুর রহমান ভূঁইয়া, আলী মােল্লা (নাগরাপাড়া), জামাল (ইলমদী), আলাউদ্দিন মিয়া (প্রভাকরদী), এম জাহান খান (ইলমদী), কবি বেনজীর আহমেদ (ইলমদী), নওয়াব আলী (আড়াইহাজার), সাফি (পূর্ব আতাদি), আলী মােল্লা (চৈতন্যকান্দা), নজরুল ইসলাম (খাগকান্দা), মবিনউদ্দীন মাস্টার (দক্ষিণপাড়া), সিরাজ সিকদার (লক্ষ্মী বরদির), কাজী শামসুদ্দীন, আবদুল মালেক, মনির, সাকি প্রমুখ। এরা আড়াইহাজার থানার গ্রামগুলােতে ঢুকে নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন ও তাদের জিনিসপত্র লুটপাট করে। হিন্দুপাড়ার যুবতীদের ধরে নিয়ে পাকসেনাদের ক্যাম্পে পৌছে দেয়। হানাদাররা নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে মুক্তিযােদ্ধারা রাজাকারদের আড়াইহাজার থানা থেকে উৎখাত করলে তারা নারায়ণগঞ্জে এসে আশ্রয় নেয়।
পাকসেনারা এপ্রিল মাসের মধ্যবর্তী সময়ে আড়াইহাজার থানায় অনুপ্রবেশ করেই হত্যাকাণ্ড শুরু করে। তারা এডভােকেট অখিল চন্দ্র দাস ও তার মুহুরি কেদার বাবু, আড়াইহাজার থানা সদর ইউনিয়নের ঝাউগড়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিলাল ঘােষসহ ৭ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে কালীবাজারস্থ ব্ৰহ্মপুত্র নদীর পাড়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর রাজাকার ও পাকবাহিনী লাশগুলো গর্ত খুঁড়ে গণকবর দেয়। এটি কালীগঞ্জ ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় গণহত্যা ও গণকবর নামে পরিচিত। ঐদিনই তারা কমলা নামে এক নারীকে আড়াইহাজার থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির সহায়তায় সে ছাড়া পায়। আগস্ট মাসে পাকসেনারা ডা. সাদত আলী সিকদার এমপিএ-এর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। সংসদ সদস্যদের ধরিয়ে দিলে তারা আড়াই লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেয়। নভেম্বর মাসে আড়াইহাজার থানার শেষ সীমার ধরগাঁও গ্রামে খানসেনারা প্রবেশ করে বাড়ি থেকে গ্রামবাসীর হাঁস-মুরগি ধরে নিয়ে যায় এবং মেয়েদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। আড়াইহাজার থানা ক্যাম্প পাকবাহিনীর নির্যাতনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আড়াইহাজারের মুক্তিযোদ্ধারা এ এলাকার রেললাইনে পাহারারত পাকসেনাদের ওপর আপারেশন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। ১১ই সেপ্টেম্বর সকালে মুক্তিযােদ্ধা কমলের নেতৃত্বে অন্যান্য মুক্তিযােদ্ধারা আড়াইহাজার রেললাইন অপারেশন-এ অংশগ্রহণ করেন। পাকসেনারা রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে রেললাইনের ওপর দিয়ে বাজারের দিকে হাঁটতে থাকে। এ অবস্থায় মুক্তিযােদ্ধারা তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালান। তারাও পাল্টা জবাব দেয়। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়। এ যুদ্ধে ৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। বড় সাদিপুর মাদ্রাসার মুক্তিযােদ্ধা ক্যাম্পের মুক্তিযােদ্ধারা আড়াইহাজার থানার বড় সাদিপুরে এ অপারেশন পরিচালনা করেন। মুক্তিযােদ্ধাদের মধ্যে সােহেল গ্রুপ (ঝাউগড়া, পিরােজপুর ইউনিয়ন), আউয়াল গ্রুপ (আনন্দবাজার, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন), মহিউদ্দিন মাহি গ্রুপ (কাচপুর ইউনিয়ন), রতন ভূঁইয়ার গ্রুপের বিশ্বনাথ চন্দ্র শীল, মঞ্জু মিয়া, শম্ভ কর্মকার, এয়াকুব প্রমুখ এ অপারেশনে অংশ নেন।
নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে নেভাল কমান্ডার সিরাজের নেতৃত্বে মাে. রেজাউল করিম, কাজী মাে. ওয়াজউদ্দীনসহ অন্যান্য মুক্তিযােদ্ধারা আড়াইহাজার থানায় পাকসেনাদের ক্যাম্প অপারেশন করেন। এ অপারেশনে পাকসেনারা পিছু হটে আড়াইহাজার ডাকবাংলােয় তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে। এসময় মুক্তিযােদ্ধারা থানা থেকে একজন পাকসেনাকে ধরে এনে হত্যা করেন। দুই শতাধিক পাকসেনা রসদ ও গােলাবারুদ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় তাদের ক্যাম্পে যাবে এ সংবাদ সাের্সের মাধ্যমে পেয়ে ১৫ জন মুক্তিযােদ্ধার একটি দল ৭ই নভেম্বর বগাদী নামক স্থানে এম্বুশ করে। এখানে পাকসেনাদের সাথে মুক্তিযােদ্ধাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়, যা বগাদী অপারেশন নামে পরিচিত। উভয়পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মুক্তিযােদ্ধা কাজী মঞ্জুর হােসেন পাকসেনাদের গুলিতে ঘটনাস্থলে শহীদ হন।
নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে আড়াইহাজার থানার ডেপুটি কমান্ডার কাজী মাে. ওয়াজউদ্দীনের নেতৃত্বে মুক্তিযােদ্ধারা ধরগাঁও গ্রামে পাকসেনা ও রাজাকারদের আক্রমণ করেন, যা ধরগাঁও অপারেশন নামে পরিচিত। থানা কমান্ডার মাসুদুর রহমান মাসুদ একজন রাজাকারকে ধরে বড় সাদিপুর ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। তাকে হাত-পা বেঁধে একটি ঘরে আটক রাখা হয়। ঘণ্টাখানেক পর সে পালিয়ে গিয়ে পাকসেনা ও অন্যান্য রাজাকারসহ ফিরে এসে মুক্তিযােদ্ধা ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। মুক্তিযােদ্ধাদের সঙ্গে পাকসেনাদের মুখােমুখি যুদ্ধ হয়। ঘণ্টাখানেক যুদ্ধের পর পাকসেনাবাহিনী শেল নিক্ষেপ করলে মুক্তিযােদ্ধারা পিছু হটে যান। এর কিছুক্ষণ পর মুক্তিযােদ্ধারা একজন রাজাকারকে ধরে নিয়ে আসেন। তাঁর কাছে আড়াইহাজার থানার মুক্তিযােদ্ধাদের নামের তালিকা ও মুক্তিযােদ্ধাদের অবস্থানের একটি ম্যাপ পাওয়া যায়। মুক্তিযােদ্ধারা এ রাজাকারকে হত্যা করেন। মুজিব বাহিনীর গ্রুপ কমান্ডার মাে. শামসুল হক মােল্লা এবং মুক্তিবাহিনীর শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে মাে. কাজী, মাে. ওয়াজউদ্দীন, নুরুল ইসলাম, শহীদুল্লাহ, রুহুল আমিন, শামসুজ্জামান প্রমুখ ভুলতা রােড থেকে আড়াইহাজার ঢুকতে প্রথম যে সেতুটি পড়ে, সেটির পিলারে এক্সপ্লোসিভ স্থাপন করে ডেটোনেটর ফিউজে আগুন ধরিয়ে দিয়ে একটি সফল অপারেশন পরিচালনা করেন, যা কাতরার অপারেশন নামে পরিচিত।
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আড়াইহাজার থানার টেইটা বিষ্ণুদি এলাকার মেঘনা নদীতে পাকসেনাদের জাহাজের ওপর মিত্রবাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টার থেকে বােম্বিং করেন। এতে জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাকসেনারা আহত অবস্থায় পাড়ে উঠে আসে। গ্রুপ কমান্ডার আহসান মােল্লার নেতৃত্বে কয়েকজন মুক্তিযােদ্ধা পাকসেনাদের পাড়ের দিকে আসতে দেখে তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলেন। পাকসেনারা উপায়ান্তর না দেখে মুক্তিযােদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। দেশ হানাদারমুক্ত হওয়ার পর তাদের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে আড়াইহাজার ইউনিয়নের ঝাউগড়া গ্রামে কৃষি বিভাগের হ্যালিপ্যাডের ওপর মিত্রবাহিনী বােম্বিং করে। ১৬ই ডিসেম্বর আড়াইহাজার উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
আড়াইহাজার উপজেলায় যে-সকল মুক্তিযােদ্ধা শহীদ হন, তাঁরা হলেন- কাজী মঞ্জুর হােসেন (পিতা কাজী সােলায়মান, ব্রাহ্মনদি; ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র), সিরাজুল ইসলাম (কল্যান্দী) এবং খন্দকার মাহফুজ মাের্শেদ (পিতা খন্দকার ফজলে রাব্বী, পাঁচগাও)।
আড়াইহাজার উপজেলা সদরে মুক্তিযােদ্ধাদের স্মরণে শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ এবং মুক্তিযােদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মিত হয়েছে। [রীতা ভৌমিক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড