আটপাড়া থানা আক্রমণ
আটপাড়া থানা আক্রমণ (আটপাড়া, নেত্রকোনা) পরিচালিত হয় ৭ই ডিসেম্বর। এতে দেড় শতাধিক মুক্তিযােদ্ধা অংশ নেন। এর মধ্য দিয়ে আটপাড়া থানা হানাদারমুক্ত হয়।
হানাদার পাকসেনারা অস্ত্র সংগ্রহের কথা বলে ৬ই ডিসেম্বর আটপাড়া থেকে মহকুমা সদর নেত্রকোনায় চলে যায়। ৭ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুক্তিযােদ্ধারা মাইকিং করেন এবং আত্মসমর্পণের জন্য পাকহানাদারদের ক্যাম্পে চিঠি দেন। ক্যাম্পে তখন রাজাকাররা অবস্থান করছিল। কিন্তু তারা আত্মসমপর্ণ না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে মুক্তিযােদ্ধারা থানা আক্রমণ করেন। রাজাকাররা পাল্টা-আক্রমণ করলে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ শেষে থানার বাংকারে ৪৬ জন রাজাকারের মৃতদেহ পাওয়া যায়। মােজাম্মেল হক (খলিশাপুর, পূর্বধলা থানা) নামে থানার একজন দারােগাও যুদ্ধে মারা যায়। দারােগা ও নিহত রাজাকারদের লাশ থানার পূর্ব পাশে মাটিচাপা দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে আটপাড়া থানা হানাদারমুক্ত হয়।
আটপাড়া থানা আক্রমণে যেসব মুক্তিযােদ্ধা অংশগ্রহণ করেন, তাঁদের মধ্যে আবু শহিদ খান (গ্রাম বানিয়াজান), আব্দুস সাত্তার (বানিয়াজান), রেনু খান (বানিয়াজান), আ. সাত্তার (কামতলা), মােখসেদ মিয়া (পাহাড়পুর), রহমত আলি খান (পাহাড়পুর), আব্দুল মালেক (পাহাড়পুর), ইসহাক ফকির (মােবারকপুর), হাবিবুর রহমান (মােবারকপুর) প্রমুখ উল্লেখযােগ্য। [মােহাম্মদ খায়রুল হক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড