You dont have javascript enabled! Please enable it!

আজিজনগর ম্যাচ ফ্যাক্টরি গণহত্যা (চকরিয়া, কক্সবাজার)

সংঘটিত হয় নভেম্বর মাসে। এ গণহত্যায় বেশ কয়েকজন মানুষ শহীদ হন।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলা ও বান্দরবানের লামা সংযােগস্থলে আজিজনগর অবস্থিত। এখানে আবদুস সাত্তারের সাত্তার ম্যাচ ফ্যাক্টরি, আজিজ উদ্দিন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রয়েল টেক্সটাইল মিলস ছিল। পাকিস্তানি মালিক আবদুস সাত্তারের ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে প্রায় ৮০০ জন, আজিজ উদ্দিন ও জামিল উদ্দিনের মালিকানাধীন আজিজ উদ্দিন ইন্ডাস্টিজে প্রায় ৭০০ জন এবং রয়েল টেক্সটাইল মিলসে প্রায় ২৫০ জন লােক চাকরিরত ছিল। এসবের মালিক ও পরিচালক পাকিস্তানি হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানি বাহিনী এ শিল্প অঞ্চলের কলােনিতে আক্রমণ ও অগ্নিসংযােগ করে।
২৭শে এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী আজিজনগর ম্যাচ ফ্যাক্টরি এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করে। মুক্তিযােদ্ধারা এ সময় আজিজ ম্যাচ ফ্যাক্টরির সীমানাসংলগ্ন কাঠের ব্রিজ ভেঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরােধ করেন।
ম্যাচ ফ্যাক্টরির ম্যানেজার বিহারি রিজভী পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনে প্রত্যক্ষ সহায়তা করে। ২০শে নভেম্বর আজিজনগরে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকাররা মুক্তিযােদ্ধা সন্দেহে মােহাম্মদ হােসেনকে ধরে নিয়ে যায় এবং গুলি করে হত্যা করে। এ-সময় এখানে আরাে অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন মানুষ তাদের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হন। দূরদূরান্তের পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় শহীদদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ১৪ই ডিসেম্বর চকরিয়া আজিজনগর ফ্যাক্টরি বা শিল্প এলাকায় চকরিয়া সংগ্রাম কমিটির সদস্য শামসুল হুদা বিএসসি ও সন্দ্বীপের মুক্তিযােদ্ধা শামসুল আলমের নেতৃত্বে মুক্তিযােদ্ধারা রাজাকার ও মুজাহিদ বাহিনীর ওপর অভিযান পরিচালনা করেন। এ অভিযানে আবদুস ছােবহান বাহিনী ও ইদ্রিস মােল্লা বাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। এ-সময় রাজাকার ও মুজাহিদ বাহিনীও পাল্টা আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে মুক্তিযােদ্ধারা বিজয় লাভ করেন এবং ৩টি এলএমজি, ৫টি এসএমজি, ৪৮টি রাইফেল এবং প্রচুর গােলাবারুদ তাঁদের হস্তগত হয়। [জগন্নাথ বড়ুয়া]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!