আগলা-আন্ধারকোঠা যুদ্ধ (নবাবগঞ্জ, ঢাকা)
২৯শে সেপ্টেম্বর সংঘটিত হয়। এতে কোনাে পক্ষেই কোনাে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
মুক্তিযােদ্ধারা গুপ্তচরের মাধ্যমে খবর পান যে, ২৯শে সেপ্টেম্বর পাকিস্তানি হানাদাররা ৩টি নৌকা নিয়ে আগলাআন্ধারকোঠা বরাবর ইছামতি নদী পার হচ্ছে। এ খবর জেনে আন্ধারকোঠার দক্ষিণে একটি বাড়ির আড়ালে পজিশন নিয়ে মুক্তিযােদ্ধা কমান্ডার শাহ মাে. আবু বকর সিদ্দিক হানাদারদের ইছামতি নদীর অপর পাড়ে নৌকা থেকে নামতে দেখেন। হানাদারদের বহনকারী তৃতীয় নৌকাটি যখন ইছামতি নদীর মাঝখানে অবস্থান করছিল, তখন তাদের লক্ষ করে গুলি ছােড়েন। এ-সময় ইছামতির অপর পাড় থেকে হানাদাররা পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। যুদ্ধের এক পর্যায়ে শাহ মাে. আবু বকর সিদ্দিক ও তাঁর দুজন সহযােদ্ধা আক্তার হােসেন ও সালাউদ্দিন পিছু হটে পাঠান বাড়ির সন্নিকটে পৌঁছলে হানাদার বাহিনী দুদিক থেকে হালকা মেশিন গান ও গােলা নিক্ষেপ করে ঐ বাড়ির দেয়াল ধ্বংস করে দেয়। পাঠান বাড়ির এ-যুদ্ধ ৫ মিনিট স্থায়ী হয়। মুক্তিযােদ্ধাদের মধ্যে আলী আকবর, পান্না মিয়া, মাে. হাফিজ, মন্টু, আলাউদ্দিন শেখর, মিজান, বাদল প্রমুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। [মাে. আনােয়ার হােসেন ও আব্দুল মালেক সিকদার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড